জমজমাট: মঙ্গলবার কোচবিহারে। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব
অনেক বাধা ছিল। নিষেধাজ্ঞা তো আগেই ছিল। কিন্তু সামান্য কিছু শিথিলতার সুযোগে যেন বাঁধ ভেঙে গেল! ব্যক্তিগত সুরক্ষার তোয়াক্কা না করেই রাস্তায়, হাটে-বাজারে আর মদের দোকানে দীর্ঘ-বুভুক্ষুর মতো আছড়ে পড়ল ভিড়। মঙ্গলবার সকাল থেকে সারাদিন ধরে বদলের এমনই ছবি দেখল কোচবিহার শহর।
সরকারের নির্দেশ মেনে কাজ হচ্ছে না কোথাও। মাস্ক অনেকে পরলেও সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। কেউ কেউ আবার ‘নাম কা ওয়াস্তে’ মুখে মাস্ক ঝুলিয়ে রেখেছেন। সুরক্ষার কাজ হচ্ছে না। তবে পুলিশ দেখলেই অনেকে তা যথাযথ ভাবে বেঁধে নিচ্ছেন। দেখেশুনে চিন্তিত পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠি হাতে রাস্তায় নামেন কোচবিহার সদর মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল। তাঁর সঙ্গে ছিল পুলিশবাহিনী। তিনি বলেন, “কোথাও কোথাও ভিড়ের অভিযোগ হয়। সব ক্ষেত্রেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অল্প সময়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।”
সোমবার থেকেই গ্রিন জোনে কী কী খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়, তা নিয়ে ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। মঙ্গলবার অবশ্য সকালেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের সরকারি বিজ্ঞপ্তির কথা জানিয়ে দেওয়া হয়।
সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ ছিল, হোটেল, রেস্তরাঁ, মার্কেট কমপ্লেক্স, শপিং মল খোলা যাবে না। বিজ্ঞপ্তির কথা চাউর হতেই ভবানীগঞ্জ বাজার, নতুন বাজার থেকে শুরু করে শহরের একাধিক এলাকায় বাজারের দোকান খুলতে শুরু করে। কেউ অভিযোগ জানান, ঘিঞ্জি এলাকায় সব দোকান খুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানে কেউ সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। দোকানের সামনে স্যানিটাইজার বা সাবান কোনওটাই রাখা হয়নি।
অভিযোগ পেয়ে মকুমাশাসক এবং পুলিশ কর্মীরা বেরিয়ে পড়েন। জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক চাঁদমোহন সাহা বলেন, “প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রচারের পরে অনেক বিষয় স্পষ্ট হয়। আমরাও সবাইকে জানিয়ে দিয়েছি সরকারি নির্দেশ মেনেই দোকান খুলতে হবে।”