প্রতীকী ছবি।
ফের এনজেপি এসে পৌঁছল একটি শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন। বুধবার বেঙ্গালুরু থেকে এনজেপি আসা ওই ট্রেনে অন্তত ৩০০জন শ্রমিক ফিরেছেন। তাঁদের মধ্যে কোন জেলার কতজন বাসিন্দা রয়েছেন, তা নির্দিষ্ট করে জানা না গেলেও প্রশাসনের সূত্র অনুযায়ী সকলেই উত্তরবঙ্গের নানা জেলার বাসিন্দা। মঙ্গলবারও দুপুর-বিকেল নাগাদ একটি ট্রেন এসে পৌঁছয় এনজেপি স্টেশনে। মহারাষ্ট্র থেকে আসা নিউ কোচবিহারগামী ওই ট্রেন বুধবার সকালে এনজেপি থামে। সেখানে নামেন মুর্শিদাবাদ, বীরভূম এবং উত্তর দিনাজপুরের ২৯৩ জন শ্রমিক। যদিও, তাঁদের সেখানে নামার কথা ছিল না বলে প্রশাসন সূত্রে দাবি। রেল এবং প্রশাসনের সমন্বয়ের অভাবে এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। যদিও ওই শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় বিধি মেনে বাসে তুলে জেলার দিকে রওনা করিয়ে দেওয়া হয়।
কখনও গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন থেকে নেমে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। কখনও প্রশাসন ও রেলের সমন্বয়ের অভাবে এক স্টেশনে নামার যাত্রীরা এসে পড়ছেন অন্য স্টেশনে। এরকম পরিস্থিতিতে রেলের চাপ যেমন বেড়েছে, তেমনি জরুরি হয়ে পড়েছে বাইরে থেকে আসা যে কোনও যাত্রীকেই ভালভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে স্টেশনের বাইরে নিয়ে যাওয়া। শিলিগুড়িকে কেন্দ্র করে নতুন করে সংক্রমণ ছড়ানোর প্রেক্ষিতে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় আদৌও জোর দেওয়া হচ্ছে? স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘প্রোটোকল অনুসারেই যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেওয়া হচ্ছে। থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে পরীক্ষা করার পরে কারও দেহের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক থাকলে তাঁকে আলাদা করে আরও পরীক্ষা করা হচ্ছে।’’ তা না হলে যাত্রীদের সকলকেই বাড়িতে কোয়রান্টিন থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্র থেকে আরারিয়াগামী শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন কাটিহার ডিভিশনের অধীনে গন্তব্যে ঢোকার আগেই ট্রেন থেকে নেমে পালিয়ে যান অনেক শ্রমিক। এরকম ঘটনা রেল ও স্বাস্থ্য দফতরের মাথাব্যাথা বাড়িয়েছে। স্পেশ্যাল যাত্রী ট্রেন এবং শ্রমিক ট্রেনের উপর নজরদারি বাড়ানোর যেমন দাবি উঠছে, তেমনি স্টেশনে স্বাস্থ্য পরীক্ষাতেও জোর দেওয়ার দাবি উঠছে।
উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ বলেন, ‘‘যাত্রী স্পেশ্যাল ট্রেনের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যপরীক্ষা রেলের তরফে করা হচ্ছে। যদিও শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে আসা যাত্রীদের পরীক্ষা স্বাস্থ্য দফতর করছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সাহায্য চাইলে সে ক্ষেত্রে কর্মী, পরিকাঠামো দিয়ে রেল সহায়তা করতে পারে।’’ বুধবার আরও একটি ট্রেন আসে এনজেপিতে। তাতে আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানরা ছিলেন। তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা অবশ্য সেনাবাহিনীর তরফেই করা হয়েছে বলে রেল সূত্রে দাবি। মহারাষ্ট্রের দাদর থেকে আসা গুয়াহাটিগামী একটি ট্রেনের বুধবার এনজেপি পৌঁছনোর কথা। যদিও বুধবার বিকেল পর্যন্ত এনজেপি পৌঁছয়নি ওই ট্রেন।