Coronavirus

মাস্কে মুখ ঢেকে শুভদৃষ্টি, মালাবদল

শামুকতলার বাসিন্দা পাত্রীর বাবা গোপাল সূত্রধর বলেন, "অনেক সাধ ছিল ছোট মেয়ে মৌসুমীর বিয়ে ঘটা করে দেব। লকডাউন সব ভাবনায় জল ঢেলে দিল। তাও ভেবেছিলাম বিয়েটা পিছিয়ে দেব। কিন্তু ছেলের মায়ের ইচ্ছাতেই নির্ধারিত দিনে, সাদামাটাভাবে বিয়ে সারতে হল। সরকারি নির্দেশ মেনে, সরকারি অনুমতি নিয়েই বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে।"

Advertisement

রাজু সাহা

শামুকতলা শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২০ ০৭:১৫
Share:

বিয়ের সাজে মৌসুমী। নিজস্ব চিত্র

বিয়ে ঠিক হয় কয়েক মাস আগে। প্রস্তুতিও শুরু হয় গিয়েছিল উভয়পক্ষেই। তার মাঝে লকডাউন। ভুরু কুঁচকে ছিল দুপক্ষই। বিয়ে পিছিয়ে দেওয়ারও আলোচনাও হয়। কিন্তু পিছলো না বিয়ে। ছেলের বৃদ্ধা মা বেঁকে বসায় বিয়ে হলই। তাও নির্ধারিত দিনেই। সোমবার রাতে কোচবিহারের চিলাখানায় পাত্রের বাড়ির শীতলা মন্দিরে মাস্ক পরে মালাবদল করলেন বরকনে। তবে একটাই আফশোস, না বাজল সানাই, এলেন না আত্মীয়-পরিজন।

Advertisement

শামুকতলার বাসিন্দা পাত্রীর বাবা গোপাল সূত্রধর বলেন, "অনেক সাধ ছিল ছোট মেয়ে মৌসুমীর বিয়ে ঘটা করে দেব। লকডাউন সব ভাবনায় জল ঢেলে দিল। তাও ভেবেছিলাম বিয়েটা পিছিয়ে দেব। কিন্তু ছেলের মায়ের ইচ্ছাতেই নির্ধারিত দিনে, সাদামাটাভাবে বিয়ে সারতে হল। সরকারি নির্দেশ মেনে, সরকারি অনুমতি নিয়েই বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে।" গোপালবাবু জানান, সরকারি নির্দেশ ছিল উভয় পক্ষ থেকে হাজির থাকতে পারবেন পাঁচজন করে সদস্য। সবটাই মানা হয়েছে।

তবে পাত্র শঙ্কর সূত্রধরের মনে একটু কিন্তু কিন্তু ভাব থেকেই গেছে। বললেন, "ইচ্ছা ছিল ধুমধাম করে বিয়ে হবে। প্যান্ডেল করে, ব্যান্ড বাজিয়ে বিয়ে করব। লকডাউনের জন্য সে ইচ্ছা আর পূরণ হল না। তাই মাস্ক পরেই হল মালাবদল।" তবে এমন বিয়ে দেখে হকচকিয়ে গিয়েছেন বিয়েতে শামিল শিক্ষক দুলাল সূত্রধর।

Advertisement

আরও পড়ুন: বঙ্গে মৃত্যু-হার সর্বাধিক? নবান্ন মানতে নারাজ

শামুকতলা থানার ওসি বিরাজ মুখোপাধ্যায় বলেন, "সরকারি নির্দেশিকা মেনে বিয়ের আয়োজনে কোনও মানা নেই। এই বিয়েতে সে নির্দেশ মানা হয়েছে।"

আরও পড়ুন: অজমের-ফেরতদের গায়ে স্প্রে, উঠছে প্রশ্ন

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement