জন বার্লা। ফাইল চিত্র।
প্রথমে তাঁকে ‘গৃহবন্দি’ করে রাখার অভিযোগ। তারপর লকডাউন কার্যকরে রাজ্য প্রশাসনের ব্যর্থতার অভিযোগে নিজের কেন্দ্র আলিপুরদুয়ারে ১৪৪ ধারা জারি করে আধা-সামরিক বাহিনী মোতায়েনের দাবি তুললেন বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে চিঠিও পাঠালেন তিনি।
লকডাউন ভাঙার অভিযোগে দু-দিন আগেই জন বার্লার বিরুদ্ধে বীরপাড়া থানায় স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। আর এবার জন নিজেই লকডাউন কার্যকর করা নিয়ে সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানালেন। যদিও এমন কোনও খবর তাঁর কাছে নেই বলে জানিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্রকুমার মিনা।
লকডাউনে যাতে তিনি গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াতে না পারেন, সেজন্য গত তিনদিন ধরে পুলিশ তাঁকে লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানের বাড়িতে গৃহবন্দি করে রেখেছে বলে অভিযোগ তোলেন জন। কেন তাকে কোথাও যেতে দেওয়া হচ্ছে না, সেই প্রশ্নে এ দিন নিজের বাড়ির বাইরে মোতায়েন পুলিশকর্মীদের সামনে ক্ষোভও উগড়ে দেন সাংসদ। সাংসদকে গৃহবন্দি করে রাখার অভিযোগ তুলে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
জনকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে এদিন রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা ও বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ও। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অভিষেক মোদী বলেন, “পুলিশ সর্বত্রই মোতায়েন রয়েছে। এটা ভিত্তিহীন অভিযোগ।”
তৃণমূল নেতা মোহন শর্মা বলেন, “দায়িত্বশীল সাংসদ হিসাবে জন বার্লা নিজে লকডাউন মেনে চলুন, সকলে সেটাই চায়।”