প্রতীকী ছবি
চা শ্রমিকদের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিয়ে আলাদা আলাদা করে সুর চড়ালেন বিনয় তামাং এবং বিমল গুরুং। বিনয় সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে চা শ্রমিকদের জন্য নানা দাবিদাওয়া করেছেন। বিমল চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। দুজনের দাবি এবং চিঠিতে একটি বিষয়ের মিল রয়েছে, তা হল চা বাগান বন্ধ রাখার কথা। তবে সরকারি নির্দেশে চা বাগান খোলা হলে শ্রমিকদের উপযুক্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করার দাবি তোলা হয়েছে। চা শ্রমিকদের বিমা এবং লকডাউনের সময়ে ভাতার দাবিও জানানো হয়েছে।
মার্চে লকডাউন শুরুর পরেই বাগানগুলি বন্ধ হয়ে যায়। পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক চা বাগানকে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর তালিকাভুক্ত করে লকডাউন থেকে ছাড় দেয়। তা নিয়ে রাজনৈতিক টানাপড়েন শুরু হয় রাজ্যে। বাগান মালিকেরা দাবি তোলে অর্থনীতিকে বাঁচাতে বাগান খুলতে হবে। অন্যদিকে, চা শ্রমিক সংগঠনগুলি স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বাগান বন্ধ রাখার দাবি চালিয়ে যেতে থাকে। গত শনিবার নবান্ন জানিয়েছে ২৫ শতাংশ শ্রমিক দিয়ে পাতা তোলা যেতে পারে। তারপরেই নিজেদের মতো করে চা শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা শুরু করেছেন বিনয় ও বিমল। বাগান জীবাণুমুক্ত করা, শ্রমিকদের পিপিই দেওয়া, বাগানে সামাজিক দূরত্ব বিধি মানার কথাও তোলা হয়েছে। গত রবিবার থেকে ডুয়ার্স-তরাইয়ের বেশিরভাগ বাগানে পাতা তোলা শুরু হয়েছে। মালিক সংগঠনের দাবি, সামাজিক দূরত্ব মেনেই কাজ চলছে।