Namaz

জমায়েত নেই জুম্মার নমাজেও

এ দিন বেশিরভাগ মসজিদে ইমাম ও মসজিদের চার-পাঁচজন কর্মী সেখানে শুধু নামাজ পড়েন। এবং সেই নামাজ পড়া হয়েছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২০ ০১:১৩
Share:

সচেতন: দূরত্ব বজায় রেখেই চলল নমাজ। শুক্রবার, কালিয়াচকের আলিপুর বাইতুল মোকাররম জামে মসজিদে। নিজস্ব চিত্র

করোনাভাইরাস নিয়ে সাবধানতার ছবি শুক্রবার ধরা পড়ল মালদহ জেলার বিভিন্ন মসজিদে। এদিন দুপুরে জুম্মার নমাজে অংশ নিতে মসজিদে ভিড় করতে দেখা যায়নি মুসলিম ধর্মপ্রাণ মানুষদের। বিশেষ করে কালিয়াচকের জামে মসজিদগুলিতে এদিন নমাজ পড়তে ভিড় ছিল না বললেই চলে। এদিন দুপুরে নির্দিষ্ট সময়ে জুম্মার আজানের পরে বাড়িতেই নামাজ পড়েন মুসলিম ধর্মপ্রাণরা। এই ঘটনায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন জামে মসজিদের ইমাম ও প্রশাসনও। একাধিক মসজিদ সূত্রে জানা গিয়েছে, জুম্মার আযানের পর এ দিন বেশিরভাগ মসজিদে ইমাম ও মসজিদের চার-পাঁচজন কর্মী সেখানে শুধু নামাজ পড়েন। এবং সেই নামাজ পড়া হয়েছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই।

Advertisement

করোনাভাইরাস নিয়ে সাবধানতায় কালিয়াচকের আলিপুর-১ পঞ্চায়েতের বাইতুল মোকাররম জামে মসজিদ কর্তৃপক্ষ আগাম বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছিল যে শুক্রবারে জুম্মার আযানের পর সকলে যেন বাড়িতেই নামাজ পড়েন। পাশাপাশি, আযানের পর মাইকে সেই একই প্রচার করা হয়েছিল। শুক্রবারও সকালে মাইকের সেই বার্তা দেওয়া হয়। ফলে এ দিন বেলা ১২ টা ৪৫ মিনিটে জুম্মার আযান দেওয়া হয়। এরপর বেলা একটায় সেখানে নামাজ পড়েন ইমাম ও মসজিদের পাঁচ কর্মী। তবে তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এদিন নমাজ পড়েন। এই মসজিদের ইমাম মৌলানা ইসমাইল বলেন, "একসঙ্গে অনেক মানুষের জমায়েত হলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। সে কারণে আমরা আগেই প্রচার করেছিলাম যে এদিন দুপুরে নির্দিষ্ট সময়ে জুম্মার আযানের পর ধর্মপ্রাণ রা যেন বাড়িতেই নামাজ পড়েন। সেটাই হয়েছে। লকডাউন থাকাকালীন এভাবেই শুক্রবার করে নমাজ পাঠ হবে।" জানা গিয়েছে, এই জামে মসজিদের প্রতি শুক্রবার ৭০০ থেকে এক হাজার জন নমাজ পাঠে অংশ নেন। এদিন ইমাম সহ মাত্র পাঁচজন ছিলেন। এদিন একই চিত্র ছিল কালিয়াচকের পাঁচতলা জামে মসজিদ, মাস্টার পাড়া জামে মসজিদ, হাটপাড়া জামে মসজিদ ও জেলার বিভিন্ন মসজিদগুলিতে।

পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘প্রশাসনের তরফে বিভিন্ন মসজিদ কমিটিগুলির কাছে শুক্রবারের জুম্মার নামাজের সময় জমায়েত না করার অনুরোধ করেছিলাম। এ দিন তাঁরা সাড়া দিয়েছেন।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement