প্রতীকী ছবি।
হাসপাতালে থাবা বসিয়েছে করোনা। চিকিৎসক থেকে চিকিৎসাকর্মী আক্রান্তদের তালিকায় নাম রয়েছে অনেকের। এই মুহূর্তে ২১ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসায় রয়েছেন। ইতিমধ্যে হাসপাতালের একজনের নার্সের করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে কোচবিহারের মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে। ওই হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের পাশাপাশি একটি কোভিড ওয়ার্ড রয়েছে। সেখানেও প্রতিদিন পরিষেবা দিতে হচ্ছে।
কোচবিহার জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক রণজিৎ ঘোষ বলেন, “কোভিড পরিস্থিতিতে কিছু সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হওয়াতে সমস্যা বাড়ছে। আমরা চেষ্টা করছি পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে।” মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালের সুপার দেবদীপ ঘোষ বলেন, “পরিষেবায় কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না।”
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই হাসপাতালে চিকিৎসক রয়েছেন ৩১ জন। নার্স রয়েছেন ৭৭ জন। চতুর্থ শ্রেণির কর্মী রয়েছেন ৩০ জন। এ ছাড়াও অন্যান্য বিভাগে আরও ৩০ জন কর্মী রয়েছে। ওই সংখ্যার মধ্যে একজন চিকিৎসক কোভিড আক্রান্ত। ১৫ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী কোভিড আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন। ব্লাড ব্যাঙ্কের একজন টেকনিসিয়ানও আক্রান্ত রয়েছেন। দু’দিন আগে একজন নার্সের মৃত্যু হয়েছে। কর্মীদের অনেকেই জানিয়েছেন, এই কর্মী সংখ্যার মধ্যেই প্রতিষেধকের কাজে বাইরে অনেকের ডিউটি পড়ছে। তাতে হাসপাতালের কাজে কর্মীর সংখ্যা কমে গিয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের জন্য ১৯৬টি শয্যা রয়েছে। যার পুরোটাই ভর্তি। এ ছাড়া ৩৭ শয্যার একটি কোভিড ওয়ার্ড রয়েছে। সেখানেও প্রতিদিন ১৩ থেকে ১৪ জন রোগী থাকেন। সবমিলিয়ে সেই রোগীদের পরিষেবা দিতে গিয়ে হিমসিম অবস্থা হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। হাসপাতালের এক কর্মী বলেন, “যা অবস্থা হয়ে আছে তাতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে পরিষেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। এখন থেকেই এ নিয়ে ভাবা উচিত।” মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালের উপরে কয়েক লক্ষ মানুষ নির্ভরশীল। মাথাভাঙা ও শীতলখুচির বাইরে থেকেও সেখানে রোগী নিয়ে যাওয়া হয়। এক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, “কর্মী সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করা হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত আরও কর্মী পাওয়া যাবে।”