প্রতীকী ছবি।
লকডাউন চললেও থেমে নেই জীবন। প্রতিদিনের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের কেনাবেচায় তাই ছাড় রয়েছে। ছাড় দেওয়া হয়েছে সেই সব পণ্য আনা-নেওয়ার কাজেও। বাইরে থেকে চাল, ডালের মতো সামগ্রী নিয়ে আসছে ট্রাক। তা নামানোর কাজে শ্রমিকরা, দোকানের লোকজন কাজ করছেন। সতর্কতা নিতে হবে তাঁদেরও। না হলে সেখান থেকে সমাজের বিভিন্ন স্তরে ছড়িয়ে পড়তে পারে সংক্রমণ। সে ব্যাপারে পরামর্শ দিচ্ছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রাক্তন প্রধান সমীর দাশগুপ্ত।
• খেয়াল রাখতে হবে চাল, ডাল, খাদ্যদ্রব্য, দুধ এবং অন্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হটস্পট এলাকাগুলো থেকে যাতে না আসে। মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাতের মতো অতিমাত্রায় সংক্রমণ ছড়িয়েছে যে সব এলাকায় সেখান থেকে পণ্য আনা যাবে না। যে সমস্ত এলাকাগুলোতে সংক্রমণ নেই সেখান থেকে আানার ব্যবস্থা করতে হবে।
• গাড়ির সঙ্গে চালক, হেল্পাররা আসেন। তাঁরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে বারবার হাত ধোবেন বা স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার করবেন। মাস্ক ব্যবহার করবেন। রাস্তাঘাটে কোথাও গাড়ি দাঁড় করিয়ে হোটেলে, ধাবাতে খেলে এই সব সাবধানতা মেনে চলতে হবে। শ্রমিক, দোকানের কর্মী, গাড়ির চালক, হেল্পারদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আগে যেমন বলা হত সবার মাস্ক পরার দরকার নেই। এখন তা বলা হচ্ছে না। এখন বাইরে গেলেই মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে।
• অনেক সময় ভিন্রাজ্য থেকে শ্রমিকদের আনা হয় পণ্য ওঠানো-নামানোর জন্য। সেটা যাতে না করা হয়। তাতে ওই সমস্ত শ্রমিকদের মাধ্যমে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকবে। উত্তরবঙ্গে এ ধরনের কাজের জন্য গাড়ির সঙ্গে কিসানগঞ্জ, বিহার থেকে শ্রমিক অনেক সময় আনা হয় সেটা করা চলবে না। স্থানীয় শ্রমিকদের দিয়েই কাজ করাতে হবে।
• বেশি সংখ্যায় শ্রমিকদের পণ্য নামানো ওঠানোর কাজে লাগানো যাবে না। একটি ট্রাক বা রেলের ওয়াগন থেকে পণ্য নামানো, ওঠানোর কাজে যেখানে ৬ জন কাজ করলে তাড়াতাড়ি হবে সেখানে দুই জনকে দিয়ে কাজ করাতে হবে। এক ঘণ্টার কাজ তিন ঘণ্টায় ধীরে ধীরে করাতে হবে।
• কাজের আগে এবং পরে হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার করতে হবে। না হলে সাবান দিয়ে ভাল করে হাত ধুয়ে নিতে হবে। ধোয়ার সময় হাতে সাবান যেন অন্তত ২০ সেকেন্ড থাকে। হাত চোখে, মুখে দেবেন না। সাধারণ ক্ষেত্রে ঘরে তৈরি মাস্কও ব্যবহার করা যেতে পারে। মুখ পরিষ্কার গামছা বা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা যেতে পারে।
• পণ্য আনা নেওয়ার নথি, সই করার জন্য ব্যবহৃত পেন অন্য সামগ্রী ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সতর্ক হতে হবে।