আত্মঘাতী কোভিড আক্রান্তের দেহ তোলা হচ্ছে গাড়িতে। —নিজস্ব চিত্র।
করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তি আত্মহত্যা করলেন। বুধবার সকালে জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজারের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রের খবর, আত্মঘাতী প্রদীপ কুণ্ডু (৬০) মালবাজার পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। পরিজন এবং প্রতিবেশীদের দাবি, করোনা সংক্রমিত হয়ে আতঙ্ক এবং অবসাদে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বুধবার সকালে নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে প্রদীপ আত্মঘাতী হন।
খবর পাওয়ার পর পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রদীপের বাড়ি এসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁর দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যান। করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ার পরে প্রদীপ বাড়িতেই নিভৃতবাসে ছিলেন বলে পরিজনেদের সূত্রে জানা গিয়েছে।
একদিকে বাড়ছে সংক্রমণ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। তার জেরে মালবাজার শহর জুড়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ইতিমধ্যেই নানা বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। যার জেরে বুধবার ডেইলি মার্কেটে-সহ শহরের বেশ কিছু এলাকায় দোকানপাট বন্ধ ছিল। রাস্তাঘাটে লোক সমাগম কম ছিল। অনেকের মুখেই উদ্বেগের ছাপ লক্ষ্য করা গিয়েছে।
দুপুর গড়াতে খবর আসে শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আর এক বাসিন্দা, হরেরাম কুণ্ডু (৬৮) মারা গিয়েছেন। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি ভর্তি ছিলেন। সেখানেই তিনি মারা যান। প্রদীপ ও হরেরাম আত্মীয় ছিলেন। বুধবারই শহরের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে দু’জনের শরীরে নতুন করে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় অনেকে নার্সিংহোম ও হাসপাতালের দরজায় ঘুরেও জায়গা পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ উঠেছে।