maldaha

সিএমওএইচ আক্রান্ত, ভয়ে পুলিশমহলও

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, কলকাতার কোনও বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হতে পারে। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় উত্তরবঙ্গের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি সুশান্ত রায় বলেন, ‘‘তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

মালদহ শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২০ ০৪:৫৮
Share:

রায়গঞ্জে দমকলকেন্দ্রও জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র

মালদহে করোনায় আক্রান্ত হলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী। তাঁর লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ওই আধিকারিকের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। যদিও তাঁর শরীরে রোগের বাহ্যিক কোনও উপসর্গ নেই বলে জানা গিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, শনিবার মালদহ জেলার জ়োনাল লেপ্রসি অফিসার তুহিনকুমার মাজিকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। এ দিন বিকেলেই তিনি কলকাতা রওনা দিয়েছেন। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, কলকাতার কোনও বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হতে পারে। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় উত্তরবঙ্গের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি সুশান্ত রায় বলেন, ‘‘তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’’

Advertisement

এ দিকে, মালদহে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন পুলিশকর্মীরাও। পজ়িটিভ রিপোর্ট মিলেছে কয়েক জন সিভিককর্মীরও। শনিবার নতুন করে জেলায় ১৪ জনের লালারসের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। তাঁদের মধ্যে এক পুলিশকর্মীও রয়েছেন।

একের পর এক পুলিশকর্মী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশকর্মীদের মধ্যে সংক্রমণ আরও রয়েছে কিনা তা জানতে জেলা পুলিশ লাইন থেকে শুরু করে বিভিন্ন থানায় কর্মরত কর্মীদের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। বিভিন্ন থানা জীবাণুমুক্তকরণে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা রুখতে জেলার বিভিন্ন থানায় জীবাণুমুক্তকরণের যন্ত্র বসানো শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এ দিন জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৭৩।

Advertisement

১৫ জুন কালিয়াচক থানায় কর্মরত দুই সিভিককর্মী করোনায় আক্রান্ত হন। তার পরের দিনই আক্রান্ত হন মালদহ জেলা পুলিশ লাইনে কর্মরত এক মহিলা কনস্টেবল। বৃহস্পতিবার আক্রান্ত হন গোলাপগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির এক হোমগার্ড। শুক্রবার মালদহ জেলা পুলিশ লাইনে কর্মরত ৫০ বছরের এক হোমগার্ডও আক্রান্ত হয়েছেন।

মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘পুলিশকর্মীরা করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কাজ করছেন। সকলেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন। তা সত্ত্বেও কেউ অসুস্থ কিনা তা জানতে পুলিশকর্মীদের লালারসের পরীক্ষা করানো হচ্ছে।’’

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার আক্রান্তদের মধ্যে কালিয়াচক ১ ব্লকের চার, চাঁচল ২ ব্লকের তিন, মানিকচক ব্লকের দুই এবং এক জন করে ইংরেজবাজার, হবিবপুর, হরিশ্চন্দ্রপুর ১, হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ও ইংরেজবাজার শহরের বাসিন্দা রয়েছেন। বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। তবে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকে ৪৭ বছরের এক আশাকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement