প্রতীকী ছবি।
উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা আরও দুই ব্যক্তির শরীরে করোনার সংক্রমণের হদিস মিলল। মঙ্গলবার রাতে মালদহ মেডিক্যাল থেকে জেলা প্রশাসনকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুই ব্যক্তির বাড়ি রায়গঞ্জ ব্লকের গৌরী ও বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতে। তাঁরা মুম্বইয়ে শ্রমিকের কাজ করতেন। ওই দুই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ৩০ জন শ্রমিকের লালারস আবার সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
ওই সন্ধ্যাতেই কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ডালিমগাঁও এলাকার বাসিন্দা দিল্লি ফেরত তিন পরিযায়ী শ্রমিকের শরীরে করোনা সংক্রমণের হদিস মেলে। রাতে তাঁদের কর্ণজোড়ার কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এর পর ওই দিন গভীর রাতে মুম্বই ফেরত এই দু’জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ এলে দু’জনকেই কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। এই নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধানের বক্তব্য, ‘‘এর মধ্যে তিন জনকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। আরও দু’জনকে ছুটি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’’
অন্য দিকে, বুধবার কালিয়াগঞ্জের ডালিমগাঁও সংলগ্ন পীরপুকুর এলাকাকে কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, কারা ওই তিন ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডিতে করোনা আক্রান্ত তিন ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ৩১ জনের লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট বুধবার পর্যন্ত আসেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার ওই ৩১ জন বাসিন্দার লালারস সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য মালদহ মেডিক্যালে পাঠায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
রাজ্যসভার সাংসদ অর্পিতা ঘোষের দাবি, তিনি প্রশাসনের কাছে দ্রুত ওই ৩১ জনের লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট আনানোর ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন।
রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মানসকুমার ঘোষের দাবি, ১৪ মে মুম্বই থেকে যানবাহনে চেপে ও হেঁটে রায়গঞ্জে ঢোকেন ভিটিহার ও কুমরোল এলাকার ৩০ জন পরিযায়ী শ্রমিক। ওই দিন তাঁরা রায়গঞ্জ মেডিক্যালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের লালারস সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠান। সেই থেকে তাঁরা বাড়ি না ফিরে দু’টি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে স্বেচ্ছায় কোয়রান্টিনে ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে তাঁদেরই দু’জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে।