Coronavirus in Siliguri

কোভিড দেহ দাহ করতে খরচ!

পরিবারের অভিযোগ, তাঁর দেহ দাহ করার জন্য এবং মুখ দেখতে দেওয়ার জন্য টাকা চাওয়া হয় হাসপাতালে।

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২০ ০৬:৫৩
Share:

এই সেই নোটিশ। নিজস্ব চিত্র

করোনা সংক্রমণ নিয়ে শুক্রবার মাটিগাড়া কোভিড হাসপাতালে মারা যান এক যুবক। পরিবারের অভিযোগ, তাঁর দেহ দাহ করার জন্য এবং মুখ দেখতে দেওয়ার জন্য টাকা চাওয়া হয় হাসপাতালে। কেন টাকা চাওয়া হয়? পরিবারের দাবি, প্রশাসনের নির্দেশের কথা বলা হয় তাঁদের। সেই টাকা জোগাড় করে দিয়ে রসিদ চাইলে তাঁদের একটি নোটিশের প্রতিলিপি হাসপাতালের তরফে দেওয়া হয় বলে পরিবারের দাবি। কীসের নোটিশের প্রতিলিপি? শিলিগুড়িতে সাহুডাঙ্গির যে শ্মশানে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতদের দেহ দাহ করা হচ্ছে সেখানে একটি নোটিশ দিয়ে বলা হয়েছে প্রশাসনের নির্দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতদের পরিবারের কাছ থেকে ১১৫০ টাকা নেওয়া হবে। ১৫ অগস্ট থেকে ওই ফি ধার্য হয়েছে। তার মধ্যে ১০০০ টাকা চুল্লিতে পোড়ানোর খরচ, ১৫০ টাকা শেষ সময়ে যে বাঁশের মাচায় দেহ রাখা হয় তার খরচ। যদি নির্দেশের কারণেই টাকা নেওয়া হয় তাহলে কেন রসিদ দেওয়া হল না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন শহরবাসীর একাংশ। দার্জিলিঙের জেলাশাসক এস পুন্নমবলম বলেন, ‘‘শ্মশানের দায়িত্বে থাকা সংস্থা জানায়, খরচ না দিলে ওদের কর্মীদের বেতন ও অন্যান্য খরচ তাঁরা দিতে পারছেন না। তাই আগে তারা যে খরচ নিতেন তাই নিতে বলা হয়েছে।’’

Advertisement

সূত্রের খবর, শুক্রবার দুপুরে মাটিগাড়ার থিকনিকাটা এলাকার বাসিন্দা ৩২ বছরের এক ব্যক্তি মারা যান মাটিগাড়ার কোভিড হাসপাতালে। পরিবারের অভিযোগ, নথিপত্রে সই করাতে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষা করানো হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, দেহ দেখতে চাইলে বলা হয় ‘প্যাকিং’ হয়ে গিয়েছে, দেখানো যাবে না। অভিযোগ, এরপর শনিবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ কোভিড হাসপাতাল থেকে ফোন করে জানানো হয় দেহ সৎকার করা যায়নি। পরিবারের কাউকে হাসপাতালে আসতে বলা হয়। অভিযোগ, রবিবার সকালে মৃতের এক ভাই গেলে তাঁকে জানানো হয় দেহ নেই, সৎকার হয়ে গিয়েছে। তখন যে নম্বর থেকে ফোন এসেছিল সেখানে ফোন করে খোঁজ নিলে জানানো হয় যে দেহ রয়েছে। তখন সৎকারের জন্য ১১৫০ টাকা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ।

মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, ‘‘এমন ভাবে টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’

Advertisement

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement