প্রতীকী ছবি।
দু’দিন আগে পরীক্ষার জন্য লালারস দিয়ে এসেছিলেন। বুধবার রিপোর্ট পেলে জানা যায়, তিনি করোনা আক্রান্ত। অভিযোগ, এই খবর পাওয়ার পরে শিলিগুড়ি হায়দরপাড়ার বাসিন্দা ওই দিনমজুরের স্ত্রী তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে দেননি। তখন তিনি ইস্টার্ন বাইপাসে আশিঘর এলাকায় আর একটি মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ে থাকতে যান। অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী সেখানকার বাসিন্দাদেরও খবর দিয়ে দেন।
ফলে স্থানীয়রা ওই ব্যক্তির পথ আটকান বলে দাবি। তখন নিরুপায় হয়ে আক্রান্ত মানুষটি পথের ধারে বসে পড়েন। প্রশাসন কেন ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে বা নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তুলে বাসিন্দারা বুধবার রাতেই পথ অবরোধ শুরু করেন। খবর পেয়ে আশিঘর থানার পুলিশ যায়। পুলিশ গিয়ে রাজগঞ্জ ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে। পরে গাড়ি পাঠিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে জলপাইগুড়ির একটি সেফ হোমে নিয়ে যাওয়া হয়। শিলিগুড়ি পুলিশের এসিপি স্বপন সরকার বলেন, ‘‘পুলিশ গিয়ে সমস্যা মেটায়।’’
এই পরিস্থিতির মধ্যে করোনার সংক্রমণ নিয়ে পাঁচ জনের মত্যু হল শিলিগুড়িতে। তার মধ্যে শিলিগুড়ি শহরের বাসিন্দা রয়েছেন তিন জন। এক জন দার্জিলিঙের, অন্য জন ডুয়ার্সের মেটেলির বাসিন্দা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কাওয়াখালির কোভিড হাসপাতালে মারা যান শিলিগুড়ি পুরসভার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ৮০ বছরের এক মহিলা, দার্জিলিঙের বাসিন্দা ৭২ বছরের এক বৃদ্ধ। করোনার সংক্রমণ নিয়ে বুধবার গভীর রাতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে মারা যান শিলিগুড়ি পুরসভার পূর্ব নেতাজিপাড়ার বাসিন্দা এক অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মী। ওই রাতে তিলক রোডের নর্সিংহোমে মারা যান ৭০ বছরের এক মহিলা। এ দিন দুপুরে তিলক রোডের নার্সিংহোমেই মারা গিয়েছেন ডুয়ার্সের মেটেলির বাসিন্দা ৭৫ বছরের এক ব্যক্তি।
শিলিগুড়ি পুর এলাকায় এ দিন নতুন করে ৪২ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পরেছে। তার মধ্যে ১৭ জন জলপাইগুড়ি জেলার অধীনে থাকা শিলিগুড়ি পুরসভার সংযোজিত ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বেঙডুবি সেনা হাসপাতাল, সুকনা সেনাছাউনি, কদমতলা বিএসএফ, সেবক রোডের সেনা শিবিরগুলি থেকে একাধিক জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন।
আক্রান্ত দাহাল: নারী মোর্চার সভানেত্রী ছিরিং দাহাল করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার পরীক্ষার ফল জানা গিয়েছে। সুকনা এলাকায় ছিরিং দাহালের বাড়ি রয়েছে। তাঁর সংস্পর্শে কারা এসেছেন, দেখছে স্বাস্থ্য দফতর।