প্রতীকী ছবি।
টানা দিন কয়েকের লড়াই। কখনও শারীরিক অস্বস্তি বেড়ে গিয়েছিল। কখনও মিলেছিল কিছুটা স্বস্তি। মানসিক ভাবে তাঁরা দৃঢ় ছিলেন শুরু থেকেই। অবশেষে করোনাকে হারিয়ে জয়ী হলেন ৯০ উত্তীর্ণা দুই বৃদ্ধা। বুধবার, কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে তাঁদেরকে ছুটি দেওয়া হয়। সেই সময় তাঁদের ঘিরে ছিলেন চিকিৎসক-নার্সরা। পাশে ছিলেন পরিজনরা। প্রত্যেকের মুখে ছিল প্রশস্তির হাসি। কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি রাজীব প্রসাদ বলেন, ‘‘দু’জন প্রবীণা আজ করোনামুক্ত হয়েছেন। দু’জনেই ভাল আছেন। তাঁদের একজনের বয়স ৯২ বছর, অপরজনের ৯০ বছর। দু’জনকেই সময়মতো হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।’’
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অল্প-সময়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শু অনেক কম বয়সের অনেক মানুষও এ বার করোনার শিকার হয়েছেন। এ দিন দু’জন নব্বই বছরের বেশি বয়সের বৃদ্ধার করোনা জয় তাই সাহস যুগিয়েছে সবার মনে। মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সরাও খুশি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য দফতরর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯২ বছরের ওই বৃদ্ধা বাড়িতেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। পরীক্ষা করার পর তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। চিকিৎসকের পরামর্শেই তাঁকে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, নিয়মমতো চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাওয়া আর নার্সদের যত্নে ওই দুই বৃদ্ধা ভাল হয়ে ওঠেন। তাঁদের মানসিক ভাবেও চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করেন হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী ও নার্সরা। একই ভাবে আর-এক বৃদ্ধার দিকেও নজর দেওয়া হয়। দিন কয়েকের মধ্যে তাঁদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করে।
এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, একজন বৃদ্ধা ২৭ মে এবং আর-একজন ৫ জুন ভর্তি হয়েছিলেন। টিকিৎসায় সাড়া দিয়ে অল্পসময়ের মধ্যেই তাঁরা সুস্থ হতে শুরু করেন। এর আগে ৯৯ বছরের এক বৃদ্ধা করোনা নেগেটিভ হয়েও মারা গিয়েছিলেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর হৃদযন্ত্রের সমস্যা ছিল। এ বারে তাই বেশি সতর্ক ছিলেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, ঠিক সময়ে রোগীর চিকিৎসা শুরু হলে ফল ভাল হয়।