প্রতীকী ছবি।
পুজো শেষ হতেই জেলা জুড়ে জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন হাসপাতালের ফিভার ক্লিনিকে বাড়ছে রোগী ভিড়। তার পরেও করোনার জেরে হাসপাতালে যাওয়ার আতঙ্কে অনেকেই জ্বরের কথা লুকোচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠছে। অন্যদিকে অভিযোগ, জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের সন্ধানে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নজরদারি বাড়ানোর কথা বলা হলেও, জেলার অনেক জায়গায় সেই কাজ ঠিকমতো হচ্ছে না। এতে চিন্তা বাড়ছে আলিপুরদুয়ারে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, পুজো শেষ হওয়ার পর প্রথম দুই-তিনদিন সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু তার পর থেকেই জ্বর ও সর্দি-কাশির প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। ফলে জেলার হাসপাতালগুলির ফিভার ক্লিনিকে বাড়ছে ভিড়। যদিও জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা এই জ্বরের কারণ হিসাবে করোনার কথা মানতে নারাজ। তাঁদের কথায়, ঋতু পরিবর্তন, অর্থাৎ আচমকা গরম থেকে ঠান্ডা পড়া শুরু হওয়াতেই এমনটা হচ্ছে। কিন্তু স্বাস্থ্য কর্তাদের চিন্তা বাড়াচ্ছে অন্য ঘটনা।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, আলিপুরদুয়ারে করোনা ছড়ানো শুরু হতেই জেলার বাসিন্দাদের একাংশ জ্বর বা অন্য কোনও উপসর্গ লুকোতে শুরু করেন। যার জেরে বাড়িতে পড়ে থেকে অনেকের শারীরিক অবস্থা জটিল হয়ে পড়ে। শেষ মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কারণে তাঁ দের অনেককে বাঁচাতেও সমস্যায় পড়তে হয়েছে চিকিৎসকদের।
আলিপুরদুয়ারের স্বাস্থ্যকর্তাদের একাংশের অভিযোগ, গত কয়েকদিনে জেলায় জ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধি পেতেই তা লুকোনোর প্রবণতা আরও বাড়ছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এমন ঘটনা রুখতে কিছুদিন আগেই জেলা জুড়ে বাড়ি বাড়ি নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেয় জেলা স্বাস্থ্য দফতর। পুজোর পর সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকায় ফের সেই নির্দেশ দেওয়া হয়।
কিন্তু খোদ স্বাস্থ্য কর্তা ও চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ, জেলার অনেক জায়গাতেই এই নজরদারি ঠিকঠাক হচ্ছে না। বেশ কিছু জায়গায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। যে ঘটনায় চিন্তিত অনেকেই। জেলার স্বাস্থ্যকর্তা ও চিকিত্সকদের একাংশের মতে, নজরদারির দায়িত্ব যাঁদের উপর রয়েছে, তাঁদেরকে এই কাজে আরও যত্নবান হতে হবে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “জেলা জুড়ে নজরদারি একেবারে সঠিকভাবে চলছে। কিন্তু সাধারণ মানুষকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।”