প্রতীকী চিত্র।
দক্ষিণ দিনাজপুরে সংক্রমণ কমছে। গত এক সপ্তাহ ধরে দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভাইরোলজি ল্যাবে পাঠানো নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টের জেরে জেলা প্রশাসন এমন দাবি করলেও, শতাংশের হিসেবে জেলায় করোনা সংক্রমণের গতি অব্যাহত বলে মনে করেন চিকিৎসকদের একাংশ।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৭ অগস্ট ভিআরডিএল ল্যাবের পরীক্ষা অনুযায়ী জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ছিল প্রায় ৯ শতাংশ। ১ সেপ্টেম্বর সংক্রমণের হার ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। অগস্টের শুরুর দিকে জেলায় করোনা আক্রান্তের হার প্রায় ৩৫ শতাংশে উঠে গিয়েছিল। ওই সময় জেলা থেকে মালদহের ল্যাবে ৭০০-র উপরে লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হত। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, গত এক সপ্তাহ ধরে নমুনা পাঠানোর সংখ্যা কমে ২০০-র কাছাকাছি ঠেকেছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ২৬ অগস্ট ভিআরডিএল ল্যাবে মালদহের ১০০৩ জনের লালারসের পরীক্ষায় পজ়িটিভ হন ১৯ জন। সেখানে দক্ষিণ দিনাজপুরে ২২১ জনের নমুনা পরীক্ষায় সংক্রমিত হন ৪২ জন। ২৭ অগস্ট মালদহের ১১৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে পজ়িটিভ হন ৩৫ জন। দক্ষিণ দিনাজপুরে ২৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে পজ়িটিভ হন ৪০ জন। ৩১ অগস্ট মালদহের ৫৮০ জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্ত হন ১৩ জন। ওই দিন এ জেলার ১৭০ জনের নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৩।
বালুরঘাটের চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, অ্যান্টিজেন কিটে পরীক্ষায় চেয়ে বেশি কার্যকরী ভিআরডিএল ল্যাবের পরীক্ষা। অথচ গত এক সপ্তাহ ধরে নমুনা কম পাঠিয়ে জেলায় করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা কম দেখানোর চেষ্টা করা হলেও, মালদহের ল্যাবের পরীক্ষা থেকে জেলায় যে সংক্রমণ কমেনি, সেই তথ্য উঠে আসছে। তাঁদের দাবি, এ দিন মালদহ জেলায় ৮৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে মাত্র ১৭ জন পজ়িটিভ হন। আর দক্ষিণ দিনাজপুরে ১৯৯ জনের পরীক্ষা করে করোনা পজ়িটিভের সংখ্যা ২৮।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে জানান, দেড় মাস আগে জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ৩৫ শতাংশে উঠে গিয়েছিল। কন্টেনমেন্ট জ়োন এবং কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং করে পরীক্ষা বাড়ানো হলে সংক্রমণের হার কমতে থাকে। ফের এক মাস পরে সংক্রমণের হার ৪০ শতাংশে উঠে যায়। তবে এখন জেলায় সংক্রমণ কমে গড়ে ৮.৭ শতাংশ হয়েছে। তবে গ্রাম-শহরে মাস্ক ছাড়া যে ভাবে মানুষ বাইরে বের হচ্ছেন, তাতে ফের সংক্রমণ বাড়তে পারে।