Coronavirus in North Bengal

কাওয়াখালির কোভিড হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কই?

রোগীর পরিবারের একাংশের অভিযোগ, কাওয়াখালির কোভিড হাসপাতালে মেডিক্যাল অফিসাররাও সব সময় থাকেন না।

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২০ ০৭:৩৫
Share:

কাওয়াখালি কোভিড।

করোনা আক্রান্ত রোগীদের পরিস্থিতি জটিল হলে তাঁদের কাওয়াখালির কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। সেখানকার আাইসিইউ’তে ওই ধরনের রোগীদের ভর্তি করানো হচ্ছে। কিন্তু অভিযোগ, ওই আইসিইউ পরিষেবা দেখভালের জন্য সেখানে কোনও ইনচার্জ নেই। নেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও। রোগীর পরিবারের একাংশের অভিযোগ, কাওয়াখালির কোভিড হাসপাতালে মেডিক্যাল অফিসাররাও সব সময় থাকেন না। নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীদের অনেকে রোগীদের কাছে যেতে ইতস্তত করেন বলেও অভিযোগ। এইসব কারণেই যে করোনা রোগীদের কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে বলে অভিযোগ শহরবাসীর একাংশের।

Advertisement

বুধবার কাওয়াখালির কোভিড হাসপাতালে মৃত মাল্লাগুড়ির এক বাসিন্দার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ‘‘ওই হাসপাতালে চিকিৎসার মান নিয়ে আমাদের প্রশ্ন রয়েছে। কী চিকিৎসা করা হচ্ছে পরিবারের লোককে জানানো হচ্ছে না। রোগীকে ভেন্টিলেটরে রাখার পরে বাড়ির লোকেরা ফোন করলে তা জানতে পারেন। সেখানে ওয়ার্ডের জানলা বন্ধ। গুমোট ঘরে গরমের মধ্যে রোগীরা কষ্ট পাচ্ছেন বলে জেনেছি।’’ এই হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্মীর পরিবার এবং অন্য রোগীদের পরিবারের অনেকেই। এক রোগীর পরিবারের অভিযোগ, ‘‘আইসিইউ’তে ভর্তি রোগীদের ছুঁতে ভয় পান নার্সরা। বেডপ্যান দেওয়া হয় না।’’

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় ভাবে বাতানুকুল রাখার ব্যবস্থা থাকলেও সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় তা বন্ধ। ওয়ার্ডের জানলা খোলা রাখতে বলা হয়েছে বলে দাবি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে তিন জন মেডিক্যাল অফিসার রয়েছেন। এ ছাড়া নিউরোসার্জেন, কার্ডিয়োলজিস্ট এবং মেডিসিনের এক জন বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। রয়েছেন এক এমবিবিএস ডাক্তার। তাঁদেরকে ডিউটি ভাগ করে রোগী দেখতে হয়। কিন্তু একজন মেডিক্যাল অফিসারদের সব সময় থাকার কথা থাকলেও বেশির ভাগ সময়েই তিনি থাকেন না বলে অভিযোগ। কোভিড হাসপাতালে বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই কেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে করোনা চিকিৎসার সমস্যা নিয়ে বৈঠকেও বিষয়টি উঠে আসে। সুশান্ত রায় বলেন, ‘‘খামতি মেটাতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ক্রিটিক্যাল কেয়ারের জন্য চার জন চিকিৎসক, আইসিইউ’র জন্য ৪-৬ জন ‘ডেডিকেটেড নার্স’ দেওয়া হবে।’’ আট বিশেষজ্ঞের সুপার স্পেশালিটি টিমের কথাও বলা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement