প্রতীকী ছবি।
রায়গঞ্জের হাতিয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক গৌতম সিনহা। শুক্রবার বিকেলে রায়গঞ্জ শহরের নিশীথ সরণী এলাকার একটি শপিংমলের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। ওই শপিংমলে তখন ভিড় উপচে পড়েছে। কেন শপিংমলের বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন? শহরের মিলনপাড়া এলাকার বাসিন্দা গৌতম বললেন, “দেখতে পাচ্ছেন ভিতরে কী অবস্থা? সামাজিক দূরত্ব নেই, অনেকের মুখে মাস্ক নেই। না রয়েছে স্যানিটাইজ়েশনের ব্যবস্থা। ভয়ে শপিংমলে ঢোকার সাহস পেলাম না।”
দুর্গাপুজো এগিয়ে আসতেই রায়গঞ্জ শহরের সুদর্শনপুর থেকে কসবা ও জেলখানা মোড় পর্যন্ত রাস্তার দুধারে ও শহর লাগোয়া পঞ্চায়েত এলাকায় বিভিন্ন বড় পোশাকের দোকান ও শপিংমলগুলিতে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। অভিযোগ, বেশিরভাগ দোকানেই স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। অনেকের মুখে থাকছে না মাস্ক। এতে পুলিশের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক উজ্বল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এ মাসে এখনও পর্যন্ত প্রতি দিন জেলায় ৩০ থেকে ৫০ জন করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। পোশাকের দোকান ও শপিংমলগুলিতে করোনা-বিধি না মেনে এমন ভিড় থাকলে উত্তর দিনাজপুরে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে বেশি সময় লাগবে না।”
রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার সুমিত কুমার বলেন, “জেলার সমস্ত দোকানে পুলিশের নজরদারির ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। জেলার বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনকে করোনা বিধি মেনে যাতে পোশাকের দোকান ও শপিংমল গুলিতে ব্যবসা চলে, সেই ব্যাপারে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার অনুরোধ করা হয়েছে। তবে ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা সতর্ক না হলে সংক্রমণ রোখা সম্ভব নয়।”
পশ্চিম দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত সোম ও রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অতনুবন্ধু লাহিড়ী বলেন, “সংগঠনের তরফে জেলার সর্বস্তরের ব্যবসায়ীদের করোনা বিধি মেনে ব্যবসা করার অনুরোধ করা হয়েছে। কেউ বিধি অমান্য করলে আইন আইনের পথে চলুক।”