Coronavirus in North Bengal

সংক্রমণে সেঞ্চুরি করল জেলা

সোমবার জেলা সূত্রে ১৫ জন আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৬ জন পুলিশ কর্মী রয়েছে

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২০ ০৮:২০
Share:

প্রতীকী ছবি

করোনা সংক্রমণের সংখ্যায় সোমবার সেঞ্চুরি করল জলপাইগুড়ি জেলা। সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলা থেকে যে রিপোর্ট মিলেছে তাতে দেখা গিয়েছে জেলায় ১০২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও এ দিন সন্ধেয় রাজ্যের তরফে যে বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে, সোমবার সন্ধে পর্যন্ত জলপাইগুড়ি জেলায় ১২১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সেই হিসেবে সোমবার জেলায় ৩৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ দিনই মজুরি নিয়ে ঝামেলার জেরে জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে কাজ বন্ধ করে রেখেছিলেন সাফাইকর্মীরা। ধর্মঘটের জেরে সকাল থেকে সাফাইয়ের কাজকর্ম শিকেয় ওঠে হাসপাতালে। রোগীদের খাবার দেওয়ার কর্মী খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ।

Advertisement

সোমবার জেলা সূত্রে ১৫ জন আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৬ জন পুলিশ কর্মী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় কর্মরত ছিলেন। সূত্রের খবর, তিনি আইসির নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। তবে তিনি এখন কোয়রান্টিনে ছিলেন। বাকি পাঁচ জন জলপাইগুড়ি পুলিশ লাইনে কর্মরত। তাঁরাও কোয়রান্টিনে ছিলেন। এ দিন জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের এক নার্সের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আর জেলার নানা জায়গা থেকে ৮ জন পরিযায়ী শ্রমিকের করোনা পজিটিভ হওয়ার খবর মিলেছে। তাঁরা প্রত্যেকেই কোয়রান্টিনে রয়েছেন বলে সরকারি সূত্রে খবর। সবাইকেই জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে। আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় কোভিড হাসপাতালের শয্যা বাড়ানো হচ্ছে বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরে। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, জেলা পুলিশ-প্রশাসনের কর্মী-আধিকারিকদের সংক্রমণ ধরা পড়লে, তাঁদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ বিভাগ চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে সুপার জানান। তিনি আরও জানান, এ দিন জেলা সদর হাসপাতালের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবকে স্যানিটাইজ করা হয়েছে।

এ দিন সাফাই নিয়ে অভিযোগ উঠেছে কোভিড হাসপাতালে। রোগীদের অভিযোগ, রবিবার থেকে কাজ বন্ধ করেছেন সাফাই কর্মীরা। শৌচাগার সাফাই হচ্ছে না। মজুরি মিলছে না বলে দাবি সাফাই কর্মীদের। সূত্রের খবর, একটি বেসরকারি সংস্থার অধীনে তাঁরা কাজ করেন। খাবার নিয়েও অভিযোগ উঠেছে। সব রোগীদের জন্য দুধ বরাদ্দ করা হয়নি বলে দাবি। সোমবার দুপুরের খাবার বিকেল পৌনে চারটে নাগাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। খাবারের পরিমাণ নিয়েও অভিযোগ তুলেছেন রোগীরা। হাসপাতাল সুপার গয়ারাম নস্কর জানান, অভিযোগ ঠিক নয়। সরকারি নির্দেশ মেনেই পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। এ দিন জলপাইগুড়ি স্টুডেন্টস হেলথ হোমের তরফে কোভিড হাসপাতালে রোগীদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে বলে হেলথ হোমের তরফে জানানো হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement