প্রতীকী ছবি
ক্যানসারে আক্রান্ত জলপাইগুড়ির এক বাসিন্দার শরীরে মিলেছে করোনা সংক্রমণ। জলপাইগুড়ির পূর্ব অরবিন্দনগর এলাকার ওই বাসিন্দা বেশ কিছুদিন ধরে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গতকাল ওই বৃদ্ধর লালারসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে করোনা সংক্রমণ মিলেছে। আক্রান্তকে শিলিগুড়ির কোভিড হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাঁর বাড়ি ও আশেপাশের এলাকাকে কনটেনমেন্ট জ়োন করা হয়েছে। স্থানীয়রাই বাঁশ দিয়ে ঘিরেছেন এলাকা। পুরসভার তরফে জীবাণুনাশক ছড়ানো হয়েছে। ওই রোগীর তথ্য শিলিগুড়ির হিসেবেই যোগ হবে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দাবি। এ দিকে জলপাইগুড়িতে
নতুন করে আরও একজনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তিনি পরিযায়ী শ্রমিক বলে সূত্রের খবর। শনিবার রাত পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩২৯।
জলপাইগুড়ির কোভিড হাসপাতালে অবশ্য রোগীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। এখন সেখানে ৪৯ জন ভর্তি। শনিবার চার জনের ছুটি হয়েছে। রবিবার এবং সোমবার দশ-পনেরো জনের মতো রোগীর ছাড়া পাওয়ার কথা রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক না বাড়লে আগামী সপ্তাহের শেষে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কমে আসবে। এই কোভিড হাসপাতালে এখন থেকে উপসর্গহীন রোগীদের রাখা হবে না। যে আক্রান্তদের উপসর্গ মিলবে না, তাঁদের রাজগঞ্জের সেফ হোমে রাখা যেতে পারে বলে দাবি।
জলপাইগুড়ি শহর এলাকায় সংক্রমণ এখনও তুলনায় কম। পুর এলাকার ১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের বেশিরভাগই শহরের বাইরে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর। তবে সংক্রমণ ঠেকাতে এখনই বাজারগুলি থেকে বিধিনিষেধ তোলার পক্ষপাতী নয় স্থানীয় প্রশাসন।
কোথায় কত
জেলা আক্রান্ত* সুস্থ
কোচবিহার ২৯১ ২৮০
আলিপুরদুয়ার ১৮২ ১০৮
জলপাইগুড়ি ৩২৯ ২৩৬
দার্জিলিং ৪২৩ ২৫০
কালিম্পং ৫২ ৪৫
উত্তর দিনাজপুর ২৭৯ ২২৬
দক্ষিণ দিনাজপুর ১৯৪ ১২০
মালদহ ৫৪০ ৩০৯
মোট ২২৯০ ১৫৭৪
* ২৭ জুন রাত পর্যন্ত