ফাইল চিত্র
পুজোর পর করোনার প্রকোপ বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের অনেকেই। এই অবস্থায় ফালাকাটার গ্রামীণ হাসপাতালকে আলিপুরদুয়ার জেলার দ্বিতীয় কোভিড হাসপাতাল করার প্রস্তুতি শুরু করল স্বাস্থ্য দফতর।
নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই তপসিখাতার কোভিড হাসপাতালের সিসিইউয়ে ১০টি শয্যা বাড়ানো হবে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর।
জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলছে। প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন প্রান্তের অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন। যাঁদের উপসর্গ বেশি তাঁদের তপসিখাতার হাসপাতালে ভর্তি করানো হচ্ছে। কিন্তু পুজোর মুখে জেলার বাজারগুলোয় যে হারে ভিড় উপচে পড়ছে তাতে চিন্তা বেড়েই চলছে স্বাস্থ্যকর্তা থেকে শুরু করে চিকিৎসকদের একটা বড় অংশের মনে। তাঁদের আশঙ্কা, এর ফলে পুজোর পর জেলায় করোনায় আক্রান্তের হার অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। আর সেই আশঙ্কা মাথায় রেখেই জেলায় দ্বিতীয় কোভিড হাসপাতাল গড়ার চিন্তা-ভাবনা শুরু।
পুজোর পর করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেলে শুধুমাত্র তপসিখাতা হাসপাতালে যদি জায়গা না হয় সে-কথা মাথায় রেখেই ফালাকাটা গ্রামীণ হাসপাতালকে দ্বিতীয় কোভিড হাসপাতাল করার প্রস্তুতি চালাচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।
আলিপুরদুয়ারের সিএমওএইচ গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “করোনা রোগীদের চিকিত্সায় বিকল্প হাসপাতাল হিসাবে ফালাকাটা গ্রামীণ হাসপাতালকে ব্যবহার করতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। এই মুহূর্তে সেখানে ৫৪টি শয্যা রয়েছে। যার মধ্যে আটটি শয্যা সিসিইউ-এর জন্য রয়েছে। তবে ফালাকাটার ওই হাসপাতালটিকে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হবে কিনা, সে ব্যাপারে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। সেখান থেকে যেমন নির্দেশ আসবে, সেই অনুযায়ী কাজ হবে।”
তবে করোনায় আক্রান্ত সংকটজনক রোগীদের কথা মাথায় রেখে আগামী মাসেই তপসিখাতার কোভিড হাসপাতালের সিসিইউয়ে আরও ১০টি শয্যা বাড়ানো হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে ওই হাসপাতালের সিসিইউ-তে ছয়টি শয্যা রয়েছে। এত কম সংখ্যায় শয্যা থাকার জন্য অনেক সময়ি সঙ্কটজনক রোগীদের সিসিইউয়ে জায়গা দিতে সমস্যায় পড়তে হয় চিকিৎসকদের। সিএমওএইচ জানান, নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই কোভিড হাসপাতালের সিসিইউয়ে আরও ১০টি বেড চালু হয়ে যাবে।