প্রতীকী চিত্র
কোমর্বিডিটি যুক্ত করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় সুপার স্পেশ্যালিটি চিকিৎসক দলকে তৎপর হতে পরামর্শ দিলেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে পরিদর্শনে আসা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অসীম কুণ্ডু। মঙ্গলবার বিকেলে শিলিগুড়িতে মাটিগাড়া কোভিড হাসপাতাল এবং কাওয়াখালি কোভিড হাসপাতাল দু’টি পরিদর্শন করেন তিনি।
করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীনের মৃত্যু বাড়ছিল শিলিগুড়ি তথা দার্জিলিং জেলায়। চার শতাংশের মতো মৃত্যুর হার নিয়ে উদ্বেগে ছিল স্বাস্থ্য দফতরও। কয়েক দফায় স্বাস্থ্যকর্তারা পরিদর্শনে এসে সেই বিষয়টি দেখেও যান। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি খুব একটা বদলায়নি। মৃত্যু চলছিলই। উত্তরবঙ্গে করেনো নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক সুশান্ত রায় ৮ জন সুপার স্পেশ্যালিটি চিকিৎসক দল তৈরি করে দিয়েছিলেন কোমর্বিডিটি যুক্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য। কিন্তু বাস্তবে তাঁরা সময় মতো কতটা রোগীদের দেখছেন, তা নিয়ে রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ গোড়া থেকেই ছিল। এই পরিস্থিতিতে এ দিন স্বাস্থ্যকর্তার পরিদর্শন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। বিশেষ করে কোভিড হাসপাতালে সিসিইউ-গুলির পরিষেবা, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসেছেন তিনি। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগের প্রধান অসীমবাবু বলেন, ‘‘আগের থেকে এখন পরিস্থিতি অনেকটাই ভাল। নতুন রোগ। সব কিছু বুঝতে সময় লেগেছে। কোমর্বিডিটি যুক্ত রোগীদের চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ দল রয়েছে। তাঁরা নিয়মিত যাতে রোগীদের দেখেন তা নিয়ে কথা হয়েছে।’’
শিলিগুড়ির কাওয়াখালি কোভিড হাসপাতালটিতে শুধু জেলার রোগীদেরই নয়, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে করোনা আক্রান্ত জটিল পরিস্থিতিতে থাকা রোগীদের এখানেই রেফার করা হচ্ছে। অন্য দিকে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে সন্দেহভাজন রোগীদের ভর্তি করানো হচ্ছে। করোনার সংক্রমণ মিললে সেখান থেকে কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তাঁদের যখন রেফার করা হচ্ছে, তখন পরিস্থিতি ভাল নয় বলে কোভিড হাসপাতালেরই একাংশের অভিযোগ। এমনকি, যে রোগীকে পাঠানো হয়েছে, তিনি মারা গিয়েছেন দেখে রোগীকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
এ দিন শিলিগুড়ি শহরে নতুন করে ৭১ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। তার মধ্যে ২৭ জন জলপাইগুড়ি জেলার অধীনে থাকা শিলিগুড়ি পুরসভার সংযোজিত ওয়ার্ডের বাসিন্দা। শিলিগুড়ি পুর এলাকা ছাড়া শিলিগুড়ি মহকুমার বিভিন্ন ব্লক, দার্জিলিং পাহাড়ে নতুন করে আরও ৮১ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। মাটিগাড়ায় ২০, নকশালবাড়িতে ২১ ও খড়িবাড়িতে ১ জন আক্রান্ত। পাহাড়ে দার্জিলিং শহরে ১৮ জনের নতুন করে সংক্রমণ মিলেছে। সুখিয়াপোখরিতে ১১ জনের এবং বিজনবাড়ির ফুলবাজারে ৩ জনের, কার্শিয়াং শহরে ১ জনের এবং সুকনা এলাকায় নতুন করে চার জনের সংক্রমণের রিপোর্ট এসেছে।