ফাইল চিত্র।
সম্প্রতি স্বাস্থ্য সংক্রান্তে বেশ কিছু পরীক্ষা করিয়েছিলেন। তাতেই আন্দাজ ছিল, শরীর মোটামুটি ঠিকঠাক আছে। করোনা হওয়ার পরেও তাই তুলনায় অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। মন দিয়েছেন পড়াশোনায়। প্রয়োজনে ফোনালাপও করছেন। জানালেন, উপসর্গহীন তো বটেই, স্বাদ-গন্ধ চলে যায়নি।
শুক্রবার শরীরে জ্বর ভাব, মাথাব্যথা, সর্দি নিয়ে অসুস্থ বোধ করছিলেন মন্ত্রী। র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করতেই করোনা সংক্রমণ ধরা পরে। খবর পৌঁছয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। মন্ত্রীর চেয়েছিলেন হোম কোয়রান্টিনে থাকবেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির কথা, আগে হার্ট সার্জারির কথা, সুগার, রক্তচাপজনিত সমস্যার কথা তুলে ধরে জানান, বাড়িতে থাকাটা ঠিক হবে না। সেই পরামর্শ মেনে পর্যটনমন্ত্রীকে ভর্তি করানো হয় মাটিগাড়ার নার্সিংহোমে। পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘‘আসলে মুখ্যমন্ত্রী চিন্তিত থাকেন। আমার শারীরিক সমস্যাগুলো তিনি আমার চেয়ে কিছু কম জানেন না। তাই ভর্তি হতে হল।’’ এখন অবশ্য তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সেই পরামর্শ কতটা সঠিক বুঝতে পারছেন। বলেন, ‘‘তবে এখন বুঝতে পারছি, নার্সিংহোমে না ভর্তি হলে চিকিৎসার নজরদারিটা ঠিক মতো হত না। যে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখানে করে দেখছেন চিকিৎসকরা, সেটা বাড়িতে কোনও দিনই সম্ভব ছিল না।’’
কী ভাবে সময় কাটাচ্ছেন এখন? গৌতমবাবু জানান, আপাতত ইন্দ্র মিত্রের ‘করুণা সাগর বিদ্যাসাগর’ এবং সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘পূর্বপশ্চিম’ তাঁর সঙ্গী। বলছেন, ‘‘দুর্বলতা রয়েছে। তাই বেশিরভাগ সময়টা বই পড়ে কাটাচ্ছি।’’ আইপিএল-ও দেখছেন। সোমবার থেকে কেবিনে হালকা ব্যায়াম শুরু করেছেন।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা ও নিজের গাওয়া গানে একটি অ্যালবাম করেছেন মন্ত্রী। ৫ নভেম্বর কলকাতায় চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। সৌমিত্রবাবু কেমন আছেন, খোঁজ নিচ্ছেন মন্ত্রী।