প্রতীকী ছবি
এবার করোনার পরীক্ষায় নজির গড়ল ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ট্রুন্যাট ল্যাবরেটরি। এখনও পর্যন্ত এই ল্যাবে এগারোশোর বেশি লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে বলে আলিপুরদুয়ার জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। জেলার স্বাস্থ্য কর্তাদের দাবি, ফালাকাটার হাসপাতালটিতে করোনা পরীক্ষার এই পরিসংখ্যান গোটা রাজ্যের ট্রুন্যাট ল্যাবগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুরুতে আলিপুরদুয়ারের সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের লালারসের নমুনা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের মাধ্যমে কলকাতায় পাঠিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছিল। পরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালেই সেই পরীক্ষা শুরু হয়। সেইসঙ্গে বিভিন্ন জেলায় ট্রুন্যাট মেশিন বসিয়েও করোনা পরীক্ষা শুরু করা হয়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, শুরুতে ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেই করোনা রোগীদের চিকিৎসা করার কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পরে তপসিখাতার আয়ুষ হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলা হয়। তবে জেলার প্রথম ট্রুন্যাট ল্যাবটি অবশ্য ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটিতেই চালু হয়। গত ১২ মে একটি ট্রুন্যাট মেশিন দিয়ে ফালাকাটার ল্যাবটিতে করোনার পরীক্ষা শুরু হয়। এরপর ২৫ মে ওই ল্যাবে আরও একটি মেশিন বসে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নমুনার পাহাড় জমা শুরু হতেই ফালাকাটার ল্যাবটিতে ট্রুন্যাট মেশিনের সাহায্যে করোনার পরীক্ষার গতি বাড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রথমে শুধুমাত্র দিনের বেলায় এই পরীক্ষা হলেও পরে রাতেও তা চলতে থাকে। এমনকি, পাশের জেলা কোচবিহার থেকে পাঠানো অনেক নমুনারও সেখানে পরীক্ষা হয়। জেলার স্বাস্থ্য কর্তাদের হিসাব অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটির ল্যাবে এগারোশোর বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গোটা রাজ্যে ট্রুন্যাট ল্যাবগুলোর মধ্যে যা সর্বোচ্চ।
জেলার এক স্বাস্থ্য কর্তার কথায়, ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের আগে চালু হওয়া সত্ত্বেও রাজ্যের অনেক ট্রুন্যাট ল্যাব এখনও পর্যন্ত এক হাজার নমুনাই পরীক্ষা করে উঠতে পারেনি। আলিপুরদুয়ারের উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসক ও টেকনিশিয়ানদের মিলিত চেষ্টার ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে। তাদের জন্য আমরা গর্বিত।’’