প্রতীকী ছবি।
মালদহে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা কমছে— এমনই দাবি স্বাস্থ্য দফতরের। দফতরের আধিকারিকদের বক্তব্য, কয়েক দিনের সংক্রমণের পরিসংখ্যানে তা স্পষ্ট হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, জেলার দুটি কোভিড হাসপাতালেও রোগী ভর্তির হার কম। তবে সামনে ছট পুজো ও শীত পড়ছে। তাই ফের সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা থাকছে। শীতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।
সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে মালদহ জেলায় করোনা সংক্রমণের হার অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। বিশেষ করে, পুজোর বাজারে যে ভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে কেনাকাটায় ভিড় হয়েছিল এবং অনেক বাসিন্দাই মাস্ক ছাড়া বাজারে এসেছিলেন, তাতে বেশি সংক্রমণের আশঙ্কা করা হয়েছিল। পুজোর দিনগুলিতে ভিড়ও হয়েছিল। সংক্রমণের হার পুজোর পরে সে ভাবে বাড়েনি বলে দাবি প্রশাসনের।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, যেখানে জেলায় প্রতি দিন গড়ে ৮০-৯০ জন আক্রান্ত হচ্ছিলেন, সেই সংখ্যা অনেক কমেছে। দফতরের পরিসংখ্যান, ১১ নভেম্বর ৩৬ জন, ১২ নভেম্বর ৭২, ১৩ নভেম্বর ৭৩, ১৪ নভেম্বর ২৮, ১৫ নভেম্বর ১১ জন আক্রান্ত হন। ১৫ নভেম্বর ছাড়া বাকি দিনগুলিতে ৭০০ থেকে ১০০০ জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষায় সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ১৫ নভেম্বর ৬৪ জনের লালারস পরীক্ষা করা হয়েছিল। দফতর সূত্রে খবর, জেলার দুটি কোভিড হাসপাতালেও সংক্রমণ নিয়ে রোগী ভর্তির সংখ্যা কমেছে। সোমবার মালদহ মেডিক্যাল কলেজের কোভিড ইউনিটে ৩৩ জন ও নারায়ণপুর বাইপাসের কোভিড হাসপাতালে ৩০ জন ভর্তি রয়েছেন। কয়েক দিন আগে এই দুটি হাসপাতালে গড়ে ৫০ জনের বেশি করোনা রোগী ভর্তি থাকতেন।
জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (২) অমিতাভ মণ্ডল বলেন, ‘‘কয়েক দিন ধরে জেলায় করোনা সংক্রমণ কমেছে। তবে সামনে ছট পুজো। সেই পুজোয় ভিড় যেন না হয় সে দিকে নজর রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি শীত পড়তে শুরু করবে। ফলে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘শীতে স্বাস্থ্যবিধি ঠিকঠাক মেনে চলার ব্যাপারে সচেতনতা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি।’’ মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার অমিত দাঁ বলেন, "কোভিড ইউনিটে রোগীর সংখ্যা এখন কম। তবে শীত পড়লে ফের তা বাড়তে পারে।’’