প্রতীকী ছবি।
ফের এক করোনা রোগীর মৃত্যুতে উদ্বেগ ছড়াল মালদহে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, লালারসের রিপোর্ট আসার আগেই বৃহস্পতিবার রাতে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সারি ওয়ার্ডে ওই ব্যক্তি মারা যান। রাতেই অবশ্য তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ আসে। এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত ৪ জনের মৃত্যু হল মালদহে। তার মধ্যে দু’জন ইংরেজবাজার শহরের বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার রাতে মালদহ জেলায় নতুন আরও ৩১ জনের লালারসের রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ আসে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, তার মধ্যে এক ও দু’বছরের দু’টি শিশু রয়েছে। পাশাপাশি তৃণমূলের পুরাতন মালদহ ব্লকের আহ্বায়ক তথা প্রাক্তন সভাপতিও আক্রান্ত হয়েছেন। কাজিগ্রামে একই পরিবারের ৫ জন আক্রান্ত হন। সবমিলিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা এ দিন ৭০০ ছাড়াল।
অভিযোগ উঠেছে, লালারসের নমুনা সংগ্রহের ৫-৬ দিন পরে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজি ল্যাব থেকে রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। দেরি করে রিপোর্ট দেওয়ায় সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার বলে আশঙ্কা করছেন জেলাবাসীর অনেকে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ২৭ জুন কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মালদহের মোথাবাড়ি আমলিতলা এলাকার ৫৫ বছরের এক করোনা আক্রান্ত বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছিল। পরের দিন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সারি ওয়ার্ডে মৃত্যু হয় করোনা আক্রান্ত ২৮ বছরের এক যুবকের। তাঁর বাড়ি ছিল মোথাবাড়ির ছোট মহাদিপুর দেবীপুর গ্রামে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মালদহের জেলা কোভিড হাসপাতালে ইংরেজবাজার শহরের পিয়াজি মোড়ের ৭৫ বছরের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতেই মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সারি ওয়ার্ডে ভর্তি ৭৯ বছরের এক বৃদ্ধ মারা যান।
স্বাস্থ্য দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধ বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। ইংরেজবাজার শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সর্বমঙ্গলাপল্লির বাসিন্দা ওই বৃদ্ধ শ্বাসকষ্টের রোগী ছিলেন। কিছু দিন আগে তাঁর জ্বর হয়েছিল। ২৬ জুন তাঁকে মালদহের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। জানা গিয়েছে, ১ জুলাই পরিবারের লোকজন তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সারি ওয়ার্ডে ভর্তি করে। সে দিনই তাঁর লালারসের নমুনা নেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। যদিও তার আগেই রাত ৮টা নাগাদ তিনি মারা যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন পুরসভার পক্ষ থেকে ওই বৃদ্ধের বাড়ির সামনের অংশ ঘিরে দেওয়া হয়।
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘জেলায় এখন পর্যন্ত ৭০৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৮০ জন।’’