ছবি: রয়টার্স।
২৪ ঘণ্টায় মালদহে করোনা আক্রান্ত হলেন আরও ২৪ জন। ইংরেজবাজার শহরেই আক্রান্তের সংখ্যা ১২। বাকিরা জেলার অন্যান্য ব্লকের বাসিন্দা।
জেলা সদর শহরে করোনা সংক্রমণ ক্রমশ বেড়ে চলায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে পুরসভা ও প্রশাসনিক মহলে। এমন পরিস্থিতিতে শরীরে বাহ্যিক উপসর্গ নেই ইংরেজবাজার শহরের এমন আক্রান্তদের জন্য সেফ হোম বা কোভিড কেয়ার সেন্টার খোঁজার কাজ শুরু করলেন প্রশাসনিক ও পুরসভা কর্তৃপক্ষ। উপসর্গহীন আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য রবিবার সকালে শহর সংলগ্ন বাগবাড়ি খোয়ার মোড়ে থাকা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ ও বিপণন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন সদর মহকুমাশাসক সুরেশচন্দ্র রানো, ইংরেজবাজার পুরসভার প্রশাসক নীহাররঞ্জন ঘোষ ও প্রশাসক বোর্ডের সদস্য দুলাল সরকার। পরে দুলাল বলেন, "প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এই ভবনেই উপসর্গহীন রোগীদের জন্য ৫০টি শয্যা চালু করা হবে।" এ ছাড়া, শহরের বালুচরে পুরসভার উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দোতালায় থাকা একটি ভবনও তাঁরা পরিদর্শন করেন।
মালদহ জেলায় করোনা সংক্রমণ ক্রমে বাড়ছে। শুক্রবার জেলার ৪৪ জনের লালারসের নমুনা পজ়িটিভ এসেছিল। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই শনিবার রাতে ফের ২৪ জনের লালারসের নমুনা পজ়িটিভ আসে। তাতে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা হল ৫৬৪। যা উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলির মধ্যে সব চেয়ে বেশি।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন আক্রান্তদের মধ্যে ইংরেজবাজার শহরের ১২ জন, ৫ জন কালিয়াচক ১ ব্লকের। এ ছাড়া কালিয়াচক ২ ও ৩ ব্লকের দু'জন করে এবং হরিশ্চন্দ্রপুর ২, রতুয়া ১ ও পুরাতন মালদহ ব্লকের এক জন করে আক্রান্ত হয়েছেন।
ইংরেজবাজার শহরের ১২ জন আক্রান্তের মধ্যে ৬ জনই মহিলা। শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রভবন মোড় সংলগ্ন ৩২ বছরের এক মহিলা আক্রান্ত হয়েছেন, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ৬৪ বছরের এক চিকিৎসকও আক্রান্ত হন। জানা গিয়েছে, তিনি একটি নার্সিংহোমের সঙ্গে যুক্ত আছেন। এ ছাড়া ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কুতুবপুর বাবুপাড়া, বিশঘর, তেলিপুকুর, রেলওয়ে কলোনি, মহানন্দাপল্লি, সূর্যসেনপল্লি, রায়পাড়া ও বিদ্যাসাগরপল্লির এক জন করে বাসিন্দা আক্রান্ত হয়েছেন। ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বুড়াবুড়িতলায় আক্রান্ত হয়েছেন দু'জন।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তরা বেশিরভাগই উপসর্গহীন থাকায় তাঁদের ইংলিশ মিডিয়াম মডেল মাদ্রাসায় থাকা সেফ হোমে ভর্তি করা হয়েছে। আক্রান্ত মহিলাদের ভর্তি করা হয়েছে জেলা কোভিড হাসপাতালে।