প্রতীকী ছবি।
সব ঠিক থাকলে যখন করোনা ভ্যাকসিন এসে যাবে, তখন প্রথম দফায় সেটি কারা পাবেন স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে জেলায় জেলায় সেই তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। রাজ্যে সরকারি ক্ষেত্রে যুক্ত থাকা চিকিৎসক, নার্সরা সেই তালিকায় থাকছেন। তার সঙ্গে সরকারি এবং বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত কর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই কোন জেলায় সেরকম কতজন রয়েছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের দফতর থেকে সেই তালিকা চাওয়া হয়েছে। অনেক জেলা সেই তালিকা তৈরি করে ফেলেছে।
রাজ্যে করোনা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক গোপালকৃষ্ণ ঢালি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার চাইছে সকলেই যাতে ভ্যাকসিন পান সেই ব্যবস্থা করতে। তবে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। কোন জেলায় স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে কত চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যরা যুক্ত রয়েছেন জেলাগুলো থেকে সেই তালিকা চাওয়া হয়েছে।’’ তিনি জানান, স্বাস্থ্য দফতরে সেই তালিকা আসবে। স্বাস্থ্য দফতরের এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা দফতরের অধীনে অন্তত ২৯ হাজার চিকিৎসক রয়েছেন। নার্সরা রয়েছেন। নতুন চিকিৎসক, নার্স নিয়োগ করা হয়েছে। কী ভাবে ওই কর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে? গোপালকৃষ্ণ জানান, মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতর এ ভাবে ভাগ ভাগ করেই ভ্যাকসিন
বিলি হবে।
দার্জিলিং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য জানান, দার্জিলিং জেলায় সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১৬ হাজারের মতো ব্যক্তি রয়েছেন তালিকায়। এই সংখ্যা বাড়তে পারে। ইতিমধ্যেই মালদহে ১৫ হাজার ৭০০ জনের নাম নথিভুক্ত হয়েছে। এই তালিকায় রাখা হচ্ছে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর চিকিৎসক,
নার্সদের, জেনারেল ডিউটি অ্যাটেনডেন্ট বা জিডিএ স্বাস্থ্য কর্মীদের,সাফাই কর্মীদের। থাকছেন ল্যাবরেটরি টেকনোলজিস্টরাও। আশা কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকাদেরও অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখা হচ্ছে।
উত্তরবঙ্গে করোনা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক সুশান্ত রায়ের কথায়, ‘‘ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসক, নার্স তথা স্বাস্থ্য পরিষেবায় যুক্ত ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দিতেই হবে।’’ চিকিৎসকদের মধ্যে সংক্রমিতদের ৩০ শতাংশ মারা যাচ্ছেন। সাধারণ বাসিন্দাদের ক্ষেত্রে করোনার সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যুরহার ২ শতাংশের কম। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ‘হেল্থ সার্ভিসেস’ –এর সঙ্গে যুক্ত ১৫ হাজার চিকিৎসক। এ ছাড়া দু’হাজারের বেশি নতুন চিকিৎসক নিয়োগ হয়েছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা দফতরের অধীনে রয়েছেন ১২ হাজার চিকিৎসক। রাজ্যে নার্সের সংখ্যা ৩৪ হাজারের মতো।
রাজ্য সরকার প্রায় দু’লক্ষ ‘কোয়াক’ ডাক্তারদের নথিভুক্তকরণ করে স্বীকৃতি দিয়েছে। হাসপাতালে ঠিক সময়ে রোগীদের রেফারের ক্ষেত্রে তাঁদের ভূমিকা রয়েছে। তাঁরাও থাকছেন তালিকায়।