প্রতীকী ছবি।
কলকাতা থেকে ওষুধ নিয়ে আসা এক গাড়িচালকের করোনাভাইরাস ধরা পড়ল আলিপুরদুয়ারে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতরে সূত্রের খবর, গত ১০ মে বছর ষাটেকের ওই ব্যক্তি গাড়ি নিয়ে আলিপুরদুয়ারে আসেন সরকারি হাসপাতালের ওষুধের মজুত কেন্দ্রে ভ্যাকসিন নামাতে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এক খালাসিও। ওষুধ নামানোর পর জেলা স্বাস্থ্যকর্তারা তাঁদের দু-জনকে স্থানীয় একটি হোটেলের কোয়রান্টিনে পাঠিয়ে দেন। পরদিন তাঁদের লালারস সংগ্রহ করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে পাঠানো হয়। সেইদিনই চালক ও খালাসিকে ছেড়ে দেওয়া হলে তাঁরা কলকাতায় রওনা হয়ে যান।
ইতিমধ্যে সোমবার সেই রিপোর্ট এসে পৌঁছয় জেলা স্বাস্থকর্তাদের হাতে। ওই রিপোর্টে ওই চালককে পজিটিভ বলা হয়েছে, যা দেখে চিন্তায় তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বিষয়টি রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে ওই চালকের সংস্পর্শে আসা সকলকে কোয়রান্টিন সেন্টারে পাঠানো হয়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এই চালককে নিয়ে এখনও পর্যন্ত আলিপুরদুয়ারে লালারসের পরীক্ষা করা মোট পাঁচজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সন্ধান মিলল।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভ্যাকসিন নামিয়ে শেষ জায়গা হিসাবে গত ১০ মে গাড়িটি আলিপুরদুয়ারে আসে। চালক ছাড়াও একজন খালাসি ছিলেন। আলিপুরদুয়ারের স্বাস্থ্যকর্তাদের একাংশের অভিযোগ, বিভিন্ন জেলায় ভ্যাকসিন নামাতে নামাতে তাঁরা আলিপুরদুয়ারে এলেও কোথাওই তাঁদের করোনার পরীক্ষা হয়নি। কিন্তু আলিপুরদুয়ারে ভ্যাকসিন নামানোর কাজ শেষ হতেই তাঁদের একটি হোটেলে কোয়রান্টিনে পাঠান স্বাস্থ্যকর্তারা। ১১ মে তাঁদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষার জন্য পাঠান। লালারস সংগ্রহের পর ওইদিনই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য গত বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো লালারসের নমুনা পরীক্ষার পর রিপোর্ট আসতে দেরি হচ্ছে। সেই দেরির ফল হিসাবেই গত ১১ মে এই গাড়ির চালক ও খালাসির নমুনার রিপোর্ট এ দিন আসে। যাতে দেখা যায় চালকের রিপোর্ট পজ়িটিভ। আলিপুরদুয়ারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণ শর্মা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি আলিপুরদুয়ার থেকে ফিরে গিয়েছেন।
জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা জানিয়েছেন, ১০ মে ভ্যাকসিন নিয়ে গাড়ি ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ স্টোরে পৌঁছনোর পরই গাড়িটিকে প্রথমে সংক্রমণমুক্ত করা হয়। তারপর পিপিই পরে কর্মীরা সেই ভ্যাকসিন গাড়ি থেকে নামান। তবু রিজার্ভ স্টোরের কর্মী কিংবা নমুনা সংগ্রাহক বা অন্য কোনও ভাবে ওই গাড়িচালকের সংস্পর্শে এসেছেন, এমন সাতজনকে চিহ্নিত করে কোয়রান্টিনে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের প্রত্যেকেরই করোনার পরীক্ষা করা হবে।