প্রতীকী ছবি
উত্তর দিনাজপুর জেলার আরও তিন জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, শনিবার রাতে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরফে জেলা প্রশাসনকে ওই তিন জনের লালারস পরীক্ষার ‘পজ়িটিভ’ রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হল ৯। অন্য দিকে, শুক্রবার রাতে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে মৃত এক রোগীর দেহ রবিবার সকালে তাঁর পরিবারের লোকেদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, শনিবার রাতে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরফে কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির করোনা পরীক্ষার ‘নেগেটিভ’ রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধানের বক্তব্য, জেলায় করোনা আক্রান্তদের রায়গঞ্জের কর্ণজোড়া কালীবাড়ি এলাকার কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসা করা হচ্ছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, জেলায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত তিন জনের বাড়ি রায়গঞ্জের ডোডরা, কালিয়াগঞ্জ শহরের থানাপাড়া ও করণদিঘির খাতরিয়া এলাকায়। ডোডরা ও খাতরিয়ার বাসিন্দা দুই ব্যক্তি উত্তরপ্রদেশ ও মুম্বইয়ে শ্রমিকের কাজ করতেন। থানাপাড়া এলাকার করোনা-আক্রান্ত বাসিন্দা কলকাতায় থাকতেন। কিছু দিন আগেই তাঁরা বাড়ি ফেরেন। প্রশাসন তাঁদের সরকারি কোয়রান্টিনে পাঠায়। কয়েক দিন আগে তাঁদের লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, ওই তিন জনের সংস্পর্শে আসা লোকেদের লালারস সংগ্রহ করার কাজ শুরু হয়েছে। তাঁদের বাড়ির এলাকা ‘কন্টেনমেন্ট জ়োন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, এ দিনও বিহার, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, দিল্লি-সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে বহু পরিযায়ী শ্রমিক হেঁটে, সাইকেলে বা বিভিন্ন যানবাহনে রায়গঞ্জ হয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়েছেন।
প্রশাসনের বক্তব্য, প্রতি দিন ভিন্ রাজ্য থেকে শয়ে শয়ে শ্রমিক জেলায় ফিরছেন। এত জনকে আলাদা রাখার মতো কোয়রান্টিন কেন্দ্র নেই। তাই পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফিরলে স্থানীয় বাসিন্দাদের তা প্রশাসনকে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা ওই সব শ্রমিকের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা ও লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করছেন।