প্রতীকী ছবি
সেনাবাহিনীতে কর্মরত এক মহিলার করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় চিন্তিত উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, সম্প্রতি তিনি গ্রিস, ইতালি, ইংল্যান্ডের মতো কয়েকটি দেশ ঘুরে এসেছেন। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের ‘আইসোলেশন ওয়ার্ডে’ ভর্তির পরে তাঁর শরীর থেকে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার জন্য নাইসেডে পাঠানো হয়েছে। তবে ওই রিপোর্ট শুক্রবার পর্যন্ত এসে পৌঁছয়নি। ইতালির মতো করোনাভাইরাসের প্রকোপ থাকা দেশ ঘুরে আসায় তাঁকে নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তিত চিকিৎসকেরা। তাঁর স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখা হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা-সহ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা চার জনের মধ্যে দু’জনের নমুনায় কিছু মেলেনি। তাঁদের এ দিন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ওমান এবং দুবাই থেকে ফিরেছিলেন। এখন দু’জন রয়েছেন আইসোলেশন ওয়ার্ডে। অন্য জন নেপাল থেকে সম্প্রতি ফিরেছেন জ্বর, সর্দির মতো উপসর্গ নিয়ে।
শুক্রবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ‘কোভিড-১৯ স্ক্রিনিং সেন্টার’ চালু করা হয়েছে। তাতে এ দিন ভিন্ রাজ্যে থেকে ফেরা অনেকে চিকিৎসা করাতে যান। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুর পর্যন্ত ৩৫ জন সেখানে যান। তাঁদের মধ্যে ২০ জনকে গৃহ পর্যবেক্ষণে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। ওই সেন্টারে চার জন চিকিৎসক রয়েছেন।
হাসপাতাল সুপার কৌশিক সমাজদার বলেন, ‘‘ওই স্ক্রিনিং সেন্টার চালু করা হয়েছে। বিদেশ বা ভিন্ রাজ্য থেকে ফেরা বা কোনও করোনাভাইরাস সংক্রামিত রোগীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরা সেখানে চিকিৎসা করাতে পারেন। সর্দি, কাশি নিয়ে যাঁরা আসছেন তাদের দেখা হবে। আলাদা টিকিট কাউন্টারও চালু করা হচ্ছে।’’
হলদিবাড়ি থেকে দাদাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য বেঙ্গালুরু গিয়ে্ছিলেন ইদ্রিশ আলি ও আরও তিন জন। এ দিন বেঙ্গালুরু থেকে ফেরেন তাঁরা। ফিরেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের ওই স্ক্রিনিং সেন্টারে যান। সেখান থেকে তাঁদের কোয়রন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। ইদ্রিশ বলেন, ‘‘কোনও উপসর্গ আছে কি না, সমস্যা আছে কি না তা চিকিৎসক জানতে চান। সে সব কিছু নেই জেনে তিনি ১৪ দিন হোম কোয়রন্টিনে থাকতে বলেছেন।’’
অন্য দিকে, শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে এ দিন ৯ জন সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। সন্দেহভাজন রোগী আসলে তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য ওই টিম কাজ করবে।