শুভেচ্ছা: ফেরার পরই অর্পিতাকে সংবর্ধনা দিল তৃণমূল। নিজস্ব চিত্র
রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ার পরে বৃহস্পতিবার জেলায় পা রাখলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অর্পিতা ঘোষ।
এ দিন মালদহ থেকে অর্পিতাকে নিয়ে আসতে জেলা থেকে শতাধিক গাড়ির কনভয় যায়। তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি সোনা পালের নেতৃত্বে তাঁর অনুগামীরা মালদহ থেকে বালুরঘাট পর্যন্ত রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে থামিয়ে অর্পিতাকে সংবর্ধনা দেন। তৃণমূলের দাবি, অর্পিতা সাংসদ হওয়ায় জেলায় উন্নয়নের কাজে আরও গতি আসবে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, সাংসদকে সংবর্ধনা জানাতে এ দিন সোনার নেতৃত্বে প্রস্তুত ছিলেন শতাধিক কর্মী। ফুলের তোড়া, উত্তরীয় নিয়ে গাড়ির কনভয় যায় মালদহে। সেখান থেকে অর্পিতাকে নিয়ে জেলায় ফেরেন তৃণমূল কর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনাভাইরাসের জেরে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই রাস্তার মোড়ে মোড়ে গাড়ি থামিয়ে সংবর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। প্রথমে দৌলতপুর, তার পরে বংশীহারি, গঙ্গারামপুর ও বালুরঘাটে তৃণমূল কর্মীরা অর্পিতাকে সংবর্ধনা দেন। অভিযোগ, সে সবেও প্রচুর কর্মীর ভিড় জমেছিল।
ভিড় এড়াতে রাজনৈতিক কর্মসূচি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অন্যান্য জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব, সেখানে এ ভাবে জমায়েত কেন করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে অর্পিতার বক্তব্য, ‘‘আমরা কর্মীদের বারবার নিষেধ করেছিলাম কোনও সভা, জমায়েত যেন না করা হয়। তাই কোথাও কোনও সভা করা হয়নি। কিন্তু রাস্তায় দাঁড়িয়ে তাঁরা সংবর্ধনা দিয়েছেন। সেখানেও বলেছি এখন এ সব জমায়েত যেন না করা হয়।’’
তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি সোনা পালের দাবি, ‘‘দিদিকে সবাই এতই ভালবাসে যে নিষেধ করা সত্ত্বেও সবাই এসেছিল। তবে পরে এটা মাথায় রাখব।’’
এ দিকে নতুন সাংসদ পেয়ে জেলা তৃণমূল শিবির উচ্ছ্বসিত। পাঁচ বছর ধরে লোকসভার সাংসদ থাকার পরে গত ভোটে অর্পিতার পরাজয়ে জেলা থেকে সংসদে প্রতিনিধিত্বের জন্য তৃণমূলের কেউ ছিলেন না৷ সেই জায়গায় গিয়েছেন বিজেপি জনপ্রতিনিধি। তা নিয়ে শাসকদল কিছুটা ‘কোণঠাসা’ অবস্থায় ছিল।
দলের অন্দরমহলের খবর, এমন পরিস্থিতিতে অর্পিতাকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে সেই ‘ক্ষতে’ প্রলেপ দিলেন তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব। পাশাপাশি অর্পিতাকে পুরনো ভূমিকায় পেয়ে বাড়তি অক্সিজেনও পেয়েছে জেলা তৃণমূল শিবির। তাঁদের দাবি, জেলার উন্নয়নে অর্পিতা আরও কাজ করবেন। অর্পিতা বলেন, ‘‘সাংসদ হওয়ায় জেলার উন্নয়ন আরওত্বরান্বিত হবে।’’