Coronavirus

বন্ধ সাফারি পার্ক, ফিরলেন অনেকে

সোমবার রাত থেকেই রাজ্যের সমস্ত উদ্যান, জাতীয় পার্ক এবং চিড়িয়াখানার মতো বেঙ্গল সাফারি পার্ক বন্ধের নোটিসও দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

শান্তশ্রী মজুমদার 

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২০ ০৫:৪৭
Share:

বন্ধ: করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে পর্যটকদের জন্য বন্ধ করা হল বেঙ্গল সাফারি পার্ক। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সোমবার সন্ধে থেকে হঠাৎই পর্যটকদের জন্য বন্ধ করা হয়েছে বন বিভাগের অধীনে সমস্ত উদ্যান এবং চিড়িয়াখানা। কিন্তু সেই খবর পাননি অসংখ্য মানুষ। মঙ্গলবার সকাল থেকে বেঙ্গল সাফারি এসে ঘুরে গিয়েছেন অন্তত দুশো পর্যটক। পার্কের দরজায় নোটিস ঝোলানো হয়েছে, আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য বন্ধ পার্ক। এই ১৫ দিনে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে বেঙ্গল সাফারি পার্ক পড়বে বলে বন দফতর সূত্রের খবর। পার্কের ৪০০ পশু-পাখির এ ক’দিনের খোরাকই প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা।

Advertisement

সোমবার রাত থেকেই রাজ্যের সমস্ত উদ্যান, জাতীয় পার্ক এবং চিড়িয়াখানার মতো বেঙ্গল সাফারি পার্ক বন্ধের নোটিসও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পর্যটকদের দাবি, তাঁরা অনেকেই এ ব্যাপারে জানতেন না। এ দিন দূর-দূরান্তের অনেকেই সকাল থেকে এসে ঘুরে গিয়েছেন। বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ এনজেপি থেকে সপরিবার এসেছিলেন তরুণ ভৌমিক। মঙ্গলবার তাঁর ছুটি ছিল। তিনি বলেন, ‘‘উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য ছেলের স্কুল বন্ধ। ভাবলাম ঘুরে আসি। পরিবার নিয়ে এসে খুব হয়রান হলাম।’’ বীরভূম থেকে এসেছিলেন সোমা বিশ্বাস। অসমের বঙ্গাইগাঁও থেকে এসেছিলেন আরও দুই পর্যটক দীনবন্ধু ঘোষ এবং তাঁর স্ত্রী পপি। তাঁরাও জানান, আগে থেকে জানতে পারেননি বলেই হয়রান হতে হল।

গত কয়েক মাসে লাভের দিকে পা বাড়াচ্ছিল বেঙ্গল সাফারি পার্ক। সেই প্রক্রিয়া করোনার জেরে পিছিয়ে গেল আরও বেশ কিছুটা। প্রতি সপ্তাহে বেঙ্গল সাফারিতে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ আসেন। রোজ এক লক্ষ ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার টিকিট বিক্রি হয়। সপ্তাহের শেষের দিনগুলিতে ২ লক্ষ টাকা আয় হয়। সেই পুরো প্রক্রিয়া থমকে গেল দু’সপ্তাহের জন্য। উল্টে পশু-পাখির খোরাকের জন্য পার্ক কর্তৃপক্ষের দু’সপ্তাহে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা খরচ হবে বলে সূত্রের দাবি।

Advertisement

আগামী ১ এপ্রিল থেকেও পার্ক খুলবে কিনা, তা এখনও নিশ্চিতভাবে বলতে পারছেন না কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, এ ব্যাপারে রাজ্যের কর্তারা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন। বেঙ্গল সাফারি পার্কের অধিকর্তা ধরমদেও রাই বলেন, ‘‘আমাদের এখানে নোটিস দেওয়া হয়েছে। তবে তার আগে থেকেই পার্কের কর্মীদের মধ্যে মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার দেওয়া হয়েছে ব্যবহারের জন্য। পশু-পাখির মধ্যে এখনও করোনা-সংক্রমণের আশঙ্কা নেই। তবু খাঁচায় জীবানুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে।’’ এই বন্ধের সময়ে সাফারির গাড়ির এসি মেরামত, ট্যাঙ্কের পুরনো জল বের করে দেওয়ার মতো বেশ কিছু কাজ এগিয়ে রাখছেন কর্তৃপক্ষ। যাতে পর্যটন মরশুম শুরু হলেও অসুবিধা না হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement