বাঁ দিকে গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ, ডান দিকে নুরে আলম। —নিজস্ব চিত্র।
দিনহাটার যুদ্ধজয়ের পর কোচবিহারে অব্যাহত উদয়ন-প্রতাপ। এ বার তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মণকে পাশে নিয়ে জেলা পরিষদের বন এবং ভূমি কর্মাধ্যক্ষ নুর আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করলেন বিধায়ক তথা দলের জেলা চেয়ারম্যান উদয়ন গুহ। উদয়ন এবং গিরীন্দ্রনাথের মতে, জেলায় একের পর এক পঞ্চায়েতে অনাস্থা আনার ‘নায়ক’ নুর। তাই তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ঘটনাচক্রে নুর সিতাই কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। বিষয়টি নিয়ে নুর এবং জগদীশ দু’জনেই দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের শরণ নিয়েছেন।
শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন উদয়ন এবং গিরীন্দ্রনাথ। সেই বৈঠকেই দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে নুরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। গিরীন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘আমরা কোচবিহার জেলা থেকে ধসা রোগ সারানোর কথা বলেছিলাম। পর পর অনাস্থা আনার মূল নায়ক হচ্ছেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নুর আলম।’’ দলীয় সিদ্ধান্তের কথা শুনে নুর বলছেন, ‘‘বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত আমার জানা নেই। কারণ, আমাকে এখনও অবধি কিছু জানানো হয়নি। তা ছাড়া আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিসও ধরানো হয়নি। এ নিয়ে আমি দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলব।’’
এই বহিষ্কার ঘিরে দলে দ্বন্দ্বের আবহ তৈরি হয়েছে বলেও মনে করছে কোচবিহারের জোড়াফুল শিবিরের একাংশ। দলে সিতাইয়ের বিধায়কের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত নুর। এ প্রসঙ্গে সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বলছেন, ‘‘এ ভাবে কাউকে দল বহিষ্কার করতে পারে না। তার আগে ওকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া উচিত ছিল। তা ছাড়া আমার বিধানসভা এলাকার কোনও কর্মীকে যদি দল বহিষ্কার করে থাকে তা হলে দলের কর্তব্য আগে আমাকে জানানো। এ নিয়ে আমি দলের ঊর্দ্ধতন নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করব। তবে জেলা সভাপতি এবং চেয়ারম্যানেরও আমার সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়াটা দলের নীতি আদর্শের মধ্যে পড়ে।’’