স্বাক্ষর: কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। নিজস্ব চিত্র
ভুটান ও নেপালের দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়।
থিম্পুর রয়্যাল ইউনিভার্সিটি অব ভুটানের সঙ্গে ইতিমধ্যে পঞ্চানন বর্মা কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক আলোচনা এগিয়েছে। সম্প্রতি ভুটানে গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একপ্রস্ত আলোচনাও করেছেন পঞ্চাননের উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়। নেপালে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও আলোচনা চলছে বলে জানা গিয়েছে।
উপাচার্য দেবকুমার বলেন, “সম্প্রতি ভুটানে গিয়ে সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেছি। ফিরে আসার পর বুধবার তাঁর একটি ই-মেল পেয়েছি। খুব শীঘ্রই সেখানকার একটি প্রতিনিধি দল আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন। তার পরেই গাঁটছড়ার বিষয়গুলি চূড়ান্ত হবে।” তিনি জানান, নেপালে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সেই ব্যাপারে আলোচনা চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সূত্রেই জানা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক স্তরে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিচিত করার ব্যাপারে জোর দেওয়া হচ্ছে। আপাতত বিজ্ঞান ও গণজ্ঞাপন বিভাগের পড়ুয়া ও শিক্ষক আদান-প্রদানের ব্যাপারে ভুটান ও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মউ স্বাক্ষর হবে।
বৃহস্পতিবার পঞ্চানন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে তিনদিনের একটি আন্তর্জাতিক সেমিনার শুরু হয়েছে। বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরাও আছেন সেমিনারে। এই মঞ্চকে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আরও যোগাযোগ বাড়াতেও জোর দেওয়া হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষ জানান।
এ দিন বিজ্ঞান, ভাষা, দর্শন বিষয়ক সেমিনারের উদ্বোধন হয় কোচবিহারের উৎসব প্রেক্ষাগৃহে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বাকি দু’দিনের আলোচনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আব্দুল কাদের সাফেলি এ দিন বলেন, “আন্তর্জাতিক ওই সেমিনারে উত্তরবঙ্গের মোট ২৬টি কলেজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছেন।” তিনি আরও জানান, আমেরিকা, ইজ়রায়েল, বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা-সহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। সব মিলিয়ে সেমিনারে আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন আড়াইশোরও বেশি প্রতিনিধি। এ দিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন।
ইতিমধ্যে আমেরিকার নর্থ ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মউ স্বাক্ষর হয়েছিল। তাইল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশ ও ইউরোপের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও এ ব্যাপারে আলোচনা শুরু হয়েছে পঞ্চানন বর্মার।