বিতর্ক: কংগ্রেসের মঞ্চে ডালুর পাশে নরেন্দ্রনাথ। নিজস্ব চিত্র
শনিবার সকালে কংগ্রেসের সাংসদ, বিধায়কের সঙ্গে একমঞ্চে হাজির হলেন তৃণমূল নেতাও। এমনই ছবি দেখা গেল মালদহের কোতুয়ালি গ্রামে গার্ডওয়াল নির্মাণ কর্মসূচিতে। এ দিন কংগ্রেসের ওই কর্মসূচিতে হাজির তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি অবশ্য এক সময় ছিলেন কংগ্রেসেই। কংগ্রেসের কর্মসূচিতে এ দিন তাঁরই উপস্থিতি নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেও হইচই পড়েছে। যদিও চর্চার বিষয় নেই বলে জানিয়েছেন নরেন্দ্রনাথ।
ইংরেজবাজার ব্লকের কোতুয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতে ২১ লক্ষ টাকা ব্যায়ে গার্ডওয়ালের কাজের সূচনা করেন দক্ষিণ মালদহের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু)। সাংসদ তহবিলের টাকায় সেই কাজ হচ্ছে বলে জানান তিনি। এ দিন তারই সূচনার সময় হাজির ছিলেন পুরাতন মালদহের কংগ্রেসের সাংসদ ভুপেন্দ্রনাথ হালদার। দেখা যায়, সাংসদ এবং বিধায়কের মাঝে বসে রয়েছেন তৃণমূলের ইংরেজবাজার শহর সভাপতি নরেন্দ্রনাথ।
সম্প্রতি, শুভেন্দুর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন গাজলের তৃণমূল বিধায়ক দীপালি বিশ্বাস। বিজেপির দাবি, জেলার আরও একাধিক তৃণমূল নেতার বিজেপিতে যোগদান এখন সময়ের অপেক্ষা। এমন অবস্থায় নরেন্দ্রনাথ কংগ্রেসের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেছেন তৃণমূল নেতাদের একাংশ। তাঁদের দাবি, কোতুয়ালি পরিবারের ঘনিষ্ঠ নরেন্দ্রনাথ বছর দুয়েক আগে মোথাবাড়ির কংগ্রেসের বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিনের সঙ্গে যোগ দেন তৃণমূলে। কংগ্রেসের টিকিটে ইংরেজবাজার পুরসভার ২২ এবং ২৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সস্ত্রীক জয়ী হন। দলবদলের ফলে রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন তিনি। যদিও সম্প্রতি নরেন্দ্রনাথকে শহরের দায়িত্ব দেয় তৃণমূল।
এ দিন ভুপেন্দ্রনাথ বলেন, “বিজেপি এবং তৃণমূল দল ভাঙানোর রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। কংগ্রেস থেকে অনেক নেতা-নেত্রীকে ভাঙিয়ে নিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। তবে তৃণমূলে সেই নেতা-নেত্রীরা সম্মান পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় অনেকেই কংগ্রেসে ফিরে আসতে চাইছেন।” নরেন্দ্রনাথ বলেন, “এখানে অন্য কোনও বিষয় নেই। গার্ডওয়ালের দাবি দীর্ঘদিনের। আমার ওয়ার্ড সংলগ্ন হওয়ায় কাজের সূচনায় হাজির ছিলাম।”