পুলিশ কমিশনারেট পরিচালিত সরকারি প্রিপেড ট্যাক্সি স্ট্যান্ড। কিন্তু মঙ্গলবার এনজেপি স্টেশনের সেই সরকারি পরিসর থেকেই মাইক ফুঁকে তৃণমূলের ‘ব্রিগেড চলো’র প্রস্তুতি মিছিলের প্রচার করার অভিযোগ উঠল। অভিযুক্তের নাম বাবু দাস।
সে সময় বুথের দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে বিষয়টিকে গুরুত্ব না দেওয়ার। ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, ঘোষক তৃণমূলের কেউ নয়, তবে নেতা-কর্মী হলেও এটা করা অনুচিত। অন্যদিকে, বাবু দাসের কথায়, ‘‘আমি সামান্য দলীয় কর্মী। দলকে ভালবাসি বলে বন্ধে সামিল না হওয়ার ডাক দিচ্ছিলাম।
রেলের তরফে দেওয়া জায়গায় সরকারি ওই প্রিপেড ট্যাক্সি স্ট্যান্ড চালায় পুলিশ। শহরের ডিসি (ট্রাফিক) গৌরব লাল বলেন, ‘‘এটা অন্যায়। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’’
এনজেপি’র আইএনটিটিইউসি নেতা প্রসেনজিৎ রায় বলেন, ‘‘বাবু আমাদের কর্মী হয়তো নন। তবে দলকে ভালবাসলেও এ ভাবে সরকারি জায়গা ব্যবহার করে দলীয় প্রচার করা যায় না।’’ অবশ্য বাবু দাসের ব্যাখ্যা অন্য। তাঁর দাবি, এনজেপি স্টেশনে প্রিপেড ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের ওই বুথ থেকেই ক্ষমতাসীন দলের ঘোষণা হয়ে থাকে। তাঁর কথায়, ‘‘অবশ্য মিছিলে যাওয়ার কথা বলাটা আমার উচিত হয়নি।’’ তৃণমূলের দাবি, সিপিএম আমলেও একই রকম করা হত। ঘটনার পর বিরোধীরা পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। শিলিগুড়ির বিধায়ক অশোক ভট্টচার্য বলেন, ‘‘ওরা সব গুলিয়ে ফেলেছে। পুলিশ-প্রশাসন-দল সব এক করে ফেলেছে। যে যা ইচ্ছে করছে। এ সব নিয়ে যত কম বলা যায়, ততই ভাল।’’ একই সঙ্গে তাঁর দাবি, তাঁদের আমলে কখনও এ ভাবে সরকারি মঞ্চ ব্যবহার করে দলীয় প্রচার করা হয়নি।
এ দিন সকালে বামেদের সাধারণ ধর্মঘটের জেরে প্রিপেড ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে গাড়ি কম ছিল। এ অবস্থায় প্রিপেড ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে বেশি করে গাড়ি নথিভুক্ত করার ডাক দিচ্ছিলেন নিজেকে আইএনটিটিইউসি কর্মী বলে দাবি করা বাবু দাস। কিন্তু তারই সঙ্গে তিনি মাইকে অরূপ বিশ্বাসের মিছিলে যাওয়ার জন্যও চালকদের নির্দেশ দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ।