প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক থামছে না দক্ষিণ দিনাজপুরে। পার্শ্বশিক্ষক কোটায় ৫৭ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়ার পর একমাসের মধ্যে তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করায় স্কুল সংসদ সরগরম। এ বার পুরো শিক্ষক নিয়োগে চরম দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ডিআইয়ের (স্কুল পরিদর্শক) বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি তুলেছে বিজেপি।
বৃহস্পতিবার বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়, গত সপ্তাহে অনিয়মের নথি তুলে দিয়ে জেলাশাসককে পেশ করা স্মারকলিপিতে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছিল। সাড়া না মেলায় থানায় এফআইআর করা হল। তাঁরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মানস সরকার জানিয়েছেন।
মানসবাবু বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ করে দাবি করেন, গত মাসের ফেব্রুয়ারিতে জেলায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে সংরক্ষণ পদ্ধতির তোয়াক্কা না করে। ফলে তফসিলি জাতি উপজাতির প্রার্থীরা বঞ্চিত হয়েছেন। এ ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও তুলেছেন মানসবাবু।
ডিআই সুনীতি সাঁপুই অবশ্য সংসদ কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনেই নিয়োগ হয়েছে বলে দাবি করেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক স্কুল সংসদে দীর্ঘ দিন ধরে চেয়ারম্যান পদ ফাঁকা। ডিআইয়ের তত্ত্বাবধানে ফেব্রুয়ারিতে যে নিয়োগ হয়, তাতে কর্তৃপক্ষের ভুলে নিযুক্ত শিক্ষকদের ‘পার্শ্বশিক্ষক’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। চাকরি ফিরে পেতে বরখাস্ত শিক্ষকেরা ডিআই অফিসে লাগাতার আন্দোলন শুরু করেছিলেন।