COVID-19

টিকার লাইনে কারচুপি, নালিশ উপভোক্তাদের

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিষেধক কর্মসূচিতে যুক্ত শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী অন্তত চারজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২১ ১০:০৩
Share:

দুঃসময়: করোনা পরিস্থিতি সামলাতে বৈঠকে দুই জেলার প্রশাসনিক কর্তারা। বুধবার শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে। নিজস্ব চিত্র

করোনার প্রতিষেধক নিতে দু্র্ভোগ চলছেই। সরকারি হাসপাতাল থেকে নার্সিং হোম, সর্বত্রই প্রতিষেধক নিতে গিয়ে প্রতিদিনই ফিরতে হচ্ছে বলে একটা বড় অংশের অভিযোগ। অনেকে ভোর রাতে নার্সিং হোমের সামনে লাইন দিচ্ছেন। তার পরেও প্রতিষেধক না পেয়ে ক্ষুব্ধ। নার্সিং হোমগুলিতে প্রতিদিন প্রতিষেধক দিতে বাসিন্দাদের যে নামের তালিকা তৈরি হয় তাতে অনেক জায়গায় কারচুপি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, যাঁরা লাইনে দাঁড়াচ্ছেন তাঁদের বাদ দিয়ে দায়িত্বে থাকা লোকজনের একাংশ অনেক সময় পিছনের দরজা দিয়ে নিজের পরিচিতদের টিকা পাইয়ে দিতে সক্রিয় হচ্ছেন।

Advertisement

প্রতিষেধক নিয়ে কালোবাজারি হচ্ছে বলেও অনেকে অভিয়োগ তুলেছেন। বুধবার সকালে কলেজ পাড়ার একটি নার্সিং হোমে তা নিয়ে বচসাও হয়। এ দিন ভোর সাড়ে ৪টের সময় গিয়ে নাম লেখাতে লাইনে দাঁড়ান স্বপন চক্রবর্তী ও তাঁদের পরিচিতেরা। সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ তাঁদের নার্সিং হোমের তরফে জানানো হয়, এ দিন যতজনকে দেওয়া হবে তাঁদের নামের তালিকা হয়ে গিয়েছে। আর কাউকে দেওয়া হবে না। অথচ উপভোক্তাদের অভিযোগ, ‘‘লাইনে ১৫ থেকে ২০ জন নাম লেখাতে গিয়েছিলেন। অথচ আমাদের বাদ দিয়ে কী করে অন্য নাম লেখানো হল তা বুঝতে পারছি না।’’

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছেও এ ধরনের অভিযোগ এসেছে। এমনকি, শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালেও এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে কয়েকজন অভিযোগ করেছেন। হাসপাতালের সুপার প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এমন কোনও অভিযোগ পাইনি। নির্দিষ্ট করে অভিযোগ জানানো হলে নিশ্চয় বিষয়টি দেখা হবে।’’ প্রতিষেধকের দায়িত্বে থাকা উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সংযুক্তা লিউ বলেন, ‘‘নানা অভিযোগ উঠছে। সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘নার্সিং হোমগুলোর একাংশে তা নিয়ে যে অভিযোগ উঠছে তাও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের কালো তালিকাভুক্ত করে সেখানে প্রতিষেধক দেওয়ার কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে।’’

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিষেধক কর্মসূচিতে যুক্ত শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী অন্তত চারজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সে জন্য মঙ্গলবার থেকে ওই কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই কেন্দ্র এবং পুরো হাসপাতাল জীবাণুমুক্ত করার কাজ হচ্ছে। সেই কাজ শেষ করে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে ফের প্রতিষেধক দেওয়ার কর্মসূচি চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

গত সোমবার দার্জিলিং জেলায় ২০ হাজার কোভিশিল্ড প্রতিষেধক এসেছিল। গত দু’দিন ভাগ করে তা বিলি করা হয়েছে। তা দিয়ে আরও দুই দিন চলবে। তার পর প্রতিষেধক না পেলে ফের সমস্যা হবে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের কয়েকজন জানিয়েছেন। বুধবার জেলায় ৬ হাজার জন প্রতিষেধক নিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement