Uttar Pradesh

ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রকে লাঠি ছুড়ে মার শিক্ষকের! বাঁ চোখের দৃষ্টি হারাল কিশোর, শুরু তদন্ত

শিক্ষকের মারে ছাত্র একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে বলে অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বীর ঘটনা। এ বার বিচার চেয়ে জেলা শিশু কল্যাণ কমিটির দ্বারস্থ হয়েছেন শিশুটির মা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৪৬
Share:

মায়ের সঙ্গে আদিত্য কুশওয়াহা। ছবি: সংগৃহীত।

শিক্ষকের মারে ছাত্র একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে বলে অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বীর ঘটনা। ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রের মা জানিয়েছেন, দু’বার তার চোখে অস্ত্রোপচার করানো হয়েছে। তার পরেও দৃষ্টিশক্তি ফেরেনি। এ বার বিচার চেয়ে জেলা শিশু কল্যাণ কমিটির দ্বারস্থ হয়েছেন শিশুটির মা। অভিযুক্ত শিক্ষক শৈলেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। শুরু করেছে তদন্ত।

Advertisement

ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রের নাম আদিত্য কুশওয়াহা। গত ৯ মার্চ তাকে মারের অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রটি জানায়, কিছু ছেলে স্কুলের মাঠে খেলা করছিল। শিক্ষক তাকে ওই ছাত্রদের ক্লাসে ডেকে আনার নির্দেশ দেন। আদিত্যের কথায়, ‘‘আমি ওই ছাত্রদের ডেকেছিলাম। কিন্তু ওরা কেউ এল না। আমি স্যরকে গিয়ে বিষয়টি জানাই। তিনি রেগে গিয়ে আমাকে লাঠি দিয়ে মারেন। তিনি আমায় নিয়ে গিয়ে চোখে একটা ড্রপ দিয়ে দেন। এর শ্রেণিকক্ষে শুয়ে থাকতে বলেন। আমার সহপাঠীরা মাকে খবর দেন। এর পর থেকে বাঁ চোখে আর দেখতে পাচ্ছি না।’’

আদিত্য নেওয়ারির একটি সরকারি স্কুলে পড়াশোনা করে। তার মা শ্রীমতী কুশওয়াহা জানান, তাঁর ছেলেকে লক্ষ্য করে একটি লাঠি ছুড়ে মারেন শিক্ষক। সেটি আদিত্যের চোখে এসে লাগায় রক্তপাত শুরু হয়। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা থানায় গেছিলাম। তবে অভিযোগ দায়ের করিনি। শিক্ষা দফতরের হস্তক্ষেপে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’ শ্রীমতী জানিয়েছেন, ১৫ এপ্রিল আদিত্যের চোখে একটি পরীক্ষা করানো হয়। রিপোর্টে জানা যায়, তার বাঁ চোখে দৃষ্টিশক্তি নেই। এর পর চিত্রকূটে গিয়ে দু’বার সেই চোখে অস্ত্রোপচার করানো হয়। ছাত্রের মায়ের অভিযোগ, বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ১০ লক্ষ টাকা দিতে চেয়েছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষক। তাঁরা নিতে রাজি হননি। রাজ্যের শিক্ষা দফতরের আধিকারিক কমলেশ কুশওয়াহা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ব্লক শিক্ষা আধিকারিককে রিপোর্ট জমা করতে বলা হয়েছে। রিপোর্ট এলে তদন্ত শুরু হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement