দশ হাজারেরও বেশি মামলার ঝুলে রয়েছে। মামলার চাপে কোন ক্ষেত্রে শুনানি পিছিয়ে যাচ্ছে, কখনও আবার আবেদনকারীরাই হাজির হন না। সব আবেদনের দ্রুত নিষ্পত্তি করতে আগামী মাসের মধ্যেই শিলিগুড়িতে চালু হচ্ছে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের সার্কিট বেঞ্চ।
দীর্ঘ দিন ধরেই শিলিগুড়িতে বেঞ্চ গঠনের প্রস্তাব রয়েছে। তবে রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদন, ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের সবুজ সঙ্কেত সহ একাধিক অনুমোদনের জন্য কাজটি আটকে ছিল। বেঞ্চের ভবন তৈরির কাজ শুরু হয়েও অনুমোদনের অপেক্ষায় কাজ আটকে ছিল। সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভা-আদালত থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন মিলেছে।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে অনুমোদন মেলার কথা জানান। তিনি বলেন, ‘‘আশা করছি আগামী মাসের মধ্যেই বেঞ্চের কাজ শুরু হয়ে যাবে। আদালতের একটি বেঞ্চ তৈরি করতে নানা প্রক্রিয়ার প্রয়োজন হয়। সে সবের জন্য কিছুটা সময় লেগেছে। এখন আর কোনও বাধা নেই।’’
শিলিগুড়িতে বেঞ্চের কাজ শুরু হলে উত্তরবঙ্গের মামলার সংখ্যাও বাড়বে বলে আশা করছে দফতর। বর্তমানে জেলার ক্রেতা সুরক্ষা আদালতেও মামলা করা যায়। উত্তরবঙ্গের জেলাগুড়ির ক্রেতা আদালতে মামলার তেমন চাপ নেই বলেও দাবি। জেলার আদালতে কোনও মামলার রায় হলে অনেক ক্ষেত্রেই তা ক্রেতা সুরক্ষার হাইকোর্টে পাল্টা আবেদন হয়। কলকাতায় গিয়ে সেই মামলা লড়তে হয়। তার ফলে জেলার আবেদনকারীদের একাংশ মামলা করতে চান না। কলকাতায় মামলার চাপ বেশি থাকায় শুনানিও স্লথ হয়। তাতেও অনেকে উৎসাহ হারিয়ে পেলেন। তাই সার্কিট বেঞ্চ গড়ার প্রস্তাব ছিল দীর্ঘদিন ধরেই। দাবি পূরণ হওয়ায় খুশি সকলে।
শিলিগুড়ি শহরের সেবক রোডে এসজেডিএ-র একটি ভবনে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের সার্কিট বেঞ্চ তৈরি হচ্ছে। এসজেডিএ-র তরফেই ভবনটি সাজিয়ে গুছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সংস্থা সূত্রের খবর, ওই ভবনের বিদ্যুৎ সরবারহের লাইনে কিছু মেরামত প্রয়োজন। শিলিগুড়ির বেঞ্চে উত্তরবঙ্গের আট জেলার মামলার শুনানি হবে। বর্তমানে কলকাতায় ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের উচ্চকক্ষে বকেয়া থাকা সব মামলাই শিলিগুড়ি বেঞ্চে চলে আসবে বলে জানিয়েছেন দফতরের মন্ত্রী সাধনবাবু। তাতে সুবিধে হবে শিলিগুড়ি-শহর সহ লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের।