নদীপাড়ে টেনে আনা হচ্ছে কাটা মাথাটি। —নিজস্ব চিত্র।
আলিপুরদুয়ারের বারবিশার কাছে সংকোশ নদীতে হাতির কাটা মাথা উদ্ধার হলেও, সেটির ধড় কোথায়, তা নিয়ে ধন্দ জিইয়ে রইল। রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক শনিবার দাবি করেন, অসমে হাতির ধড় পাওয়া গিয়েছে। বন দফতরের আধিকারিকরা অবশ্য এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও তথ্য দিতে পারেননি। রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) দেবল রায় বলেন, “ময়না-তদন্তে জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে। তার পরেই মাথা কাটা হয়।” তাঁদের অনুমান, পরিকল্পনা করেই হাতিটিকে মারা হয়েছে।
এ দিন দুপুরে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “হাতিটিকে অসমে মারা হয়েছে। সেখানেই মাথা কেটে নদীর জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ তিনি আবার দাবি করেন, অসমে হাতির ধড়ের খোঁজ মিলেছে। প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) বলেন, “বক্সার আশপাশের জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়েও দেহটি পাইনি। অসমে যোগাযোগ রাখছি।” বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপ ক্ষেত্র অধিকর্তা (পূর্ব) দেবাশিস শর্মা বলেন, ‘‘আমাদের এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে কিছু মেলেনি। হাতির মাথা যেখানে পাওয়া গিয়েছে, সেখান থেকে অসমের দূরত্ব খুব বেশি নয়। তাই আমরা প্রায় নিশ্চিত, হাতিটিকে অসমেই মারা হয়েছে।’’ যদিও অসমের কচুগাঁও ডিভিশনের ডিএফও ভানু সিংহ দাবি করেন, বারোবিশায় হাতির মুণ্ড উদ্ধারের খবর পেয়েই তাঁরা তল্লাশি চালাচ্ছেন। শনিবার রাত পর্যন্ত সন্ধান মেলেনি। বক্সার উপক্ষেত্র অধিকর্তা (পূর্ব) বলেন, “ওয়াইল্ড লাইফ কন্ট্রোল বুরোকে জানানো হয়েছে। ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে, সেটা জানা খুবই প্রয়োজন।”