নেতৃত্বে: মোহন শর্মা
তাঁর দাড়ানোর আসনটি এ বার মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতির পদও তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। তাই আলিপুরদয়ারের জেলা সভাধিপতি, তৃণমূলের মোহন শর্মা এ বার কোথায় দাঁড়াবেন তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। নির্বাচনের ঘণ্টা বেজে গেলেও এ নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি দলীয় নেতৃত্ব।
গত বছর কালচিনি ব্লকের জয়গাঁ জেলা পরিষদের আট নম্বর আসন থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিল মোহন। গোটা কালচিনি ব্লকে মোহন শর্মার নেতৃত্বে কংগ্রেস জিতেছিল তিনটি জেলা পরিষদের আসন। পঞ্চায়েত সমতির ৩২টি আসনের মধ্যে ২২টি আসন। ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৬টিতে জিতেছিলেন মোহনের অনুগামীরা। তবে দলদবল করে তৃণমূলে আসায় মোহনের সঙ্গে তাঁর অনুগামীরাও দলবদল করে নাম লেখান শাসক দলে। তৃণমূলের তৎকালীন জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী জেলার অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদেরও দলবদল করিয়ে তৃণমূলে আনেন। তৃণমূল জেলা পরিষদে একটি আসন জিতেছিল। দলবদল করে নতুন জেলা পরিষদ দখল করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা পরিষদের সভাধিপতি করা হয় মোহন শর্মাকে। এ বার অবশ্য মোহনের জেতা আসনটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। জেলা পরিষদের সভাধিপতির আসনটিও এ বার তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজের দাঁড়ানো নিয়ে অবশ্য মোহন চিন্তিত নন। তাঁর কথায়, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা নির্দেশ দেবেন তা মানব। যেখান থেকে দাঁড়াতে বলা হবে সেখান থেকেই দাঁড়াব।’’ মোহন তৃণমূলের জেলা সভাপতিও। তিনি জানান, ইতিমধ্যে ব্লক নেতৃত্ব পঞ্চায়েতের মনোনয়ন জমা দেওয়ার নামের তালিকা পাঠিয়েছে। তা নিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের লক্ষ্য সব ক’টি আসনে জিতে আসা। সেই মত কর্মীরা কাজ করছেন।’’
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোহন শর্মা দাঁড়ালে অবশ্য অন্য কোনও সংরক্ষণহীন আসন থেকে দাঁড়াবেন। সেক্ষেত্রে, মাদারিহাট, কুমারগ্রাম, আলিপুরদুয়ার ১ ব্লক ও ২ ব্লকে একটি করে আসন রয়েছে। তবে মোহন যদি নির্বাচনে জেতেন সেক্ষেত্রে তিনি জেলা সাভাধিপতি হতে পারবে না। সহ-সভাধিপদে মোহন বসবেন কি না সেই প্রশ্নও রয়েছে। দলের নেতাদের একাংশ জানান, জেলা পরিষদে না দাঁড়ালে শীর্ষ নেতৃত্ব মোহনকে নিয়ে অন্য চিন্তাভাবনা করতে পারেন।
এ নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন মোহনের অনুগামীরাও। তৃণমূলের আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন জেলা সভাপতি, বর্তমানে জলপাইগুড়ির জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী জানান, ‘‘মোহন যেখানে ইচ্ছে দাঁড়াতে পারেন। বিষয়টি ওনার উপরেই নির্ভর করছে। তবে জেলা পরিষদের নতুন সভাধিপতি কে হবে তা শীর্ষ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবেন।’’