জনসংযোগ: শিলিগুড়ির মিলনমোড় এলাকায় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন বিমল গুরুং। ছবি: বিনোদ দাস।
নির্বাচন কমিশনে দলের নথিভুক্তকরণের কথা বলে বা পতাকা বদল করলেই পার্টির মালিক বিমল গুরুং বা রোশন গিরি’রা নয় বলে জানিয়ে দিলেন জিটিএ চেয়ারম্যান তথা বিনয় তামাংপন্থী মোর্চা সচিহ অনীত থাপা।
মঙ্গলবার কালিম্পঙে মেলা গ্রাউন্ডে এক অনুষ্ঠানে ধাক্কাধাক্কিতে মৃত দুই মহিলার বাড়িতে পর্যটন মন্ত্রীর সঙ্গে গিয়েছিলেন অনীত। এর আগে অনীতের দাবি, মোর্চার দুই গোষ্ঠীর (বিমল ও বিনয় গোষ্ঠী)স্বীকৃতি দিয়েছে আদালত। সেখানে কেউ দলের পুরোপুরি দখল করতে গেলে প্রয়োজনে আদালতে যাওয়ার হুমকি অনীতের৷ তাঁর কথায়, ‘‘যাদের আত্মবিশ্বাস কমেছে, ক্ষমতা, চেয়ার ছাড়া চলছে না, তাঁদের পতাকা লড়াই, পার্টির লড়াই নিয়ে মাথাব্যথা। আমরা পাহাড়ের মানুষের জন্য চিন্তা করছি। তাঁদের উন্নয়নের কাজ করছি।’’
১ জানুয়ারি থেকে মোর্চা গঠনের সময় তৈরি পতাকা ব্যবহারের নির্দেশ জারি করেছেন গুরুং। গুরুংপন্থীদের আশঙ্কা, সাড়ে তিন বছর ধরে অনীত, বিনয়েরা পার্টির মূল পতাকা ব্যবহার করছেন। সেখানে গুরুংপন্থীদের পতাকা বদল হয়ে গিয়েছে। এতে আগামীতে তাঁদের শুধু দল মোর্চা বলে আদালতে বা নির্বাচন
কমিশনে যেতে পারেন অনীতেরা। কিন্তু অনীতেরা অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নিয়ে তাঁদের বিন্দুমাত্র উৎসাহ নেই। কিন্তু আগামীতে কেউ একাই সব করতে চাইলে, হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট অবধি তাঁদের নিয়ে যাওয়া হবে অনীত, বিনয়পন্থীরা এ দিন জানিয়েছেন।
অনীত, বিনয় গোষ্ঠীর লোকেরা গুরুংয়ের খাসতালুর তাকভনে একটি বড় জনসভা করেছেন। সেখানে একদা গুরুং ঘনিষ্ট, বর্তমানে অনীত ক্যাম্পের যুব নেতা অমৃত ইয়নজন বলেছেন, ‘‘তাকভন কারও ব্যক্তিগত জায়গা নয়। পাহাড়ের উন্নয়নের কাজে সবাইকে একজোট হতে হবে।’’
বিরোধী ক্যাম্পের নেতারা যখন পাহাড়ে, তখন তরাই-এর নেপালি ভাষাভাষীদের মধ্যে প্রচার করে চলেছেন গুরুং। নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ির পর এ দিন চম্পাসারি মিলনমোড়, গুলমা এলাকায় সভা করেছেন।
সেখানেও বিজেপির কড়া সমালোচনা করে পদ্মফুলের বদলে ঘাসফুলে ভোট দেওয়ার জন্য সবাইকে আহ্বান করেছেন। বিজেপি তাঁকে নয়, গোর্খা সমাজকে বোকা বানিয়ে অপমান করেছেন বলে গুরুং অভিযোগ করেছেন।