ময়নাগুড়ি

দুই পরিবারের জমি বিবাদে জখম ১১

প্রায় তিন কাঠা জমি নিয়ে দুই পরিবারের সংঘর্ষে জখম হলেন এগারোজন৷ মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির আমগুড়িতে। জখম পাঁচজনকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০১৭ ০২:১৮
Share:

জখম নৃপেন মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র

প্রায় তিন কাঠা জমি নিয়ে দুই পরিবারের সংঘর্ষে জখম হলেন এগারোজন৷ মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির আমগুড়িতে। জখম পাঁচজনকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ তাদের মধ্যে একজনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে ৷

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আমগুড়ির সোনারবাড়ি এলাকায় ওই চাষের জমি ঘিরে নৃপেন মণ্ডল ও টেপেরু রায়ের পরিবারের বিবাদ দীর্ঘদিনের৷ দুই পক্ষই প্রশাসনেরও দ্বারস্থ হয়েছে৷ অভিযোগ, কয়েক মাস আগে ওই জমিতে সর্ষে গাছ লাগান নৃপেন মণ্ডলের বাড়ির লোকজন৷ এ দিন আবার সেই জমির সীমানায় বাঁশ পুঁততে যান টেপুরু রায়ের পরিবারের লোকজন৷ তখনই দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়৷ একে অপরের ওপর লাঠি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন৷ ঘটনায় এগারোজন জখম হন৷ গুরুতর জখম হওয়ায় নৃপেনবাবু, তাঁর ভাই, টেপুরু রায়, টেপুরু রায়ের ভাই ও ছেলেকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ৷ সেখান থেকে নৃপেনবাবুকে শিলিগুড়িতে রেফার করা হয় ৷

নৃপেনবাবুর ভাই দীপেন মণ্ডলের দাবি ওই জমিটি তাঁদেরই৷ তাঁরাই বছরের পর বছর জমিটিতে চাষাবাদ করছেন। তিনি বলেন, ‘‘তারপরেও ওরা জমির দাবি করতে থাকে৷ বিষয়টি নিয়ে দু’তরফই একাধিক বার প্রশাসনের কাছে গিয়েছি৷ কিন্তু আচমকাই এ দিন টেপুরু রায় দলবল নিয়ে আমাদের বাড়িতে চড়াও হয়৷ কোন কথা না বলে ওরা আমার দাদার একটি ঘরে আগুন দিয়ে দেয়৷ তারপর আমাদের লাঠি-সোটা দিয়ে মারতে শুরু করে ৷ বাঁচার জন্য আমাদের কেউ কেউ পাল্টা আক্রমণে গিয়েছিল হয়তো৷’’ টেপুরু রায়ের ছেলে পরিমল রায় পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘‘ওই জমিটি আমাদেরই৷ কিন্তু ওরা জোর করে তা দখল নিয়ে রেখেছে৷ এ দিন আমরা জমির সীমানায় বাঁশ পুঁততে গিয়েছিলাম৷ তখন ওরা নিজেদের একটি ঘরে নিজেরাই আগুন লাগিয়ে আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে৷ ময়নাগুড়ি থানার এক পুলিশ কর্তা বলেন, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ৷

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement