ফাইল চিত্র।
পুরসভার প্রচুর লোক প্রতিদিন নানা কাজে ঢুকছে। যা নিয়ে আতঙ্কে শিলিগুড়ি পুরসভার কর্মী-আধিকারিকদের একাংশ। বহিরাগতরা বা পুরকর্মীদের অনেকে পুরসভায় এসে মাস্ক ব্যবহার করছেন না। হ্যান্ড স্যানিটাইজার নেই বলে অভিযোগ। কারা পুরসভায় আসছে তা নিয়েও কোনও নিয়ন্ত্রণ বা নথিভুক্ত করার ব্যাপার নেই। তাতে ঝুঁকি বেড়েছে বলে অভিযোগ। অশোক ভট্টাচার্যকে কর্মী-আধিকারিকদের একাংশ সোমবার অভিযোগ করেন
অভিযোগ, অফিসে বিভিন্ন বিভাগে সমাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে না। নানা বিভাগে লোকজন গিয়ে ভিড় করে কথা বলছে। তাতে অনেকেই বিপদের আশঙ্কা করছেন। এমনকী বিদায়ী মেয়র প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার পর সোমবার থেকে অনেক সংগঠনের প্রতিনিধিরা পুরসভায় এসে তাঁকে ফুলের তোড়া দিতে ভিড় করছে।
প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘যে কেউ যখন খুশি চলে আসছে। ফুল দিতে ভিড় করছে। এসব এখন করা যাবে না। তাই গেটে নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়েছে।’’ এর পরেই মঙ্গলবার তড়িঘড়ি পুরসভার প্রবেশ ফটক বন্ধ রাখতে বলা হয়। কেউ পুরসভায় ঝুকতে চাইলে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান, পুর কমিশনারের দফতরে ঢোকার মুখে গেট টেনে দেওয়া হয়। সেখানে নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়। তবে এখনও অনেক ফাঁক রয়েছে। সকলের মাস্ক ব্যবহার বা বিভিন্ন বিভাগগুলোতে হ্যান্ড-স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা নেই বলে প্রশ্ন উঠেছে।
তার মধ্যে সোমবার শহরে দুই ব্যক্তির করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ায় তাঁদের সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন তা নিয়ে উদ্বেগ ছড়ায়। এক কাউন্সিলর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছিলেন কি না তা নিয়ে জল্পনা চলতে থাকে। তা ছাড়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত এক ফল বিক্রেতার হসিদ মিলেছে। নিজের ওই ওয়ার্ডে প্রায়ই যান প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য। তা নিয়ে চর্চা চলতে থাকে। পুরসভায় তাঁর দফতরে বসার জন্য চেয়ারগুলো নির্দিষ্ট দূরত্বে রাখা নেই, বরং পাশাপাশি রাখা। বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকারের ঘরেও একই পরিস্থিতি। অনেকেই সেখানে ঘেঁষাঘেষি করে বসে কথা বলেন। পুর আধিকারিকদের অনেকের দফতরেও একই পরিস্থিতি।
প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘পুরসভায় দূরত্ব বজায় রেখেই কাজ করতে বলা হয়েছে। নিয়ম মেনেই অফিসে কাজ হবে।’’ রঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘পুর কর্তৃপক্ষ গা ছাড়া মনোভাব নিয়ে চলছে। কারা পুরসভায় ঢুকছে সেই সংক্রান্ত কোনও নথি রাখা হচ্ছে না। এখানে আসা ব্যক্তিদের কারও সংক্রমণ ধরা পড়লে তখন তিনি কোন দফতরে গিয়েছিলেন সে সব চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়বে। সে কারণে নথি রাখা জরুরি। গেটে সাবান ও জল রাখতে বলা হয়েছে।’’