আমবাগান থেকে মূক ও বধির কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল মালদহের পুখুরিয়া থানার সিমলা এলাকায়। রবিবার সকালের ঘটনা।
লাগোয়া মানিকচক এলাকার এক যুবক ওই কিশোরীকে কালিন্দ্রি নদীর ওপারের ধানখেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। কিশোরীর গ্রামেই ওই যুবকের শ্বশুরবাড়ি। নির্যাতিতা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে আড়াইডাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনা জানাজানি হতেই অভিযুক্তের ভাই-সহ দুই আত্মীয়কে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এসে গাছে বেঁধে মারধর করেন বাসিন্দাদের একাংশ। পরে পুলিশ গিয়ে ওই তিনজনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত যুবক এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।
অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়ছে বলে জানান চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস।
অভিযুক্ত জয়দেব মণ্ডলের বাড়ি চাইপাড়ায়। কিশোরীর গ্রামে শ্বশুরবাড়ি হওয়ার সুবাদে ওই কিশোরী তার পরিচিত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
এ দিন সকালে নদীর ধারে নাবালিকা দুই বোনের সঙ্গে আম কুড়োতে গিয়েছিল ওই কিশোরী। দুই বোন আমবাগানের দুই প্রান্তে ছিল। ওই সময় জয়দেব কিশোরীকে জোর করে নদীর ওপারে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এখন জল না থাকায় হেঁটেই নদী পারাপার করা যায়।
দিদিকে নিয়ে যেতে দেখে কিশোরীর বোন কিছুটা দূরে নদীতে মাছ ধরতে আসা জেলেদের ঘটনার কথা জানায়। সব কথা শুনে জেলেরা সেখানে পৌঁছানোর আগেই জয়দেব পালিয়ে যায় বলে অভিযোগে। ওই জেলেরাই নির্যাতিতা কিশোরীকে উদ্ধার করেন।