সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে মানহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন এক পুলিশ অফিসার।
ওই অফিসারেরা নাম চিন্ময় ভট্টাচার্য। তিনি ট্রাফিক পুলিশের এনজেপি ট্রাফিক গার্ডের একজন সাব ইন্সপেক্টর। তাঁর একটি ভিডিও তোলা হয়েছিল গত বছর এপ্রিলে, আমবাড়ির নোওয়াপাড়া এলাকায়। ওই এলাকাতে যাওয়া সিকিমের প্রাইভেট নম্বরের একটি ছোট গাড়িকে তখন ধরেছিলেন চিন্ময়বাবু।
গাড়িটি বেআইনি ভাবে বাণিজ্যিক ভাবে চলাচল করছিল বলে অভিযোগ। তিনি যখন বিষয়টি চালক, আরোহীদের বোঝাচ্ছিলেন তখন তাঁদের মধ্যে কেউ ভিডিওটি গোপনে তোলেন বলে চিন্ময়বাবুর অনুমান। পরে সেই ভি়ডিওটিই পুলিশ ঘুষ চাইছে বলে ফেসবুকে দিয়ে দেওয়া হয়। চিন্ময়বাবু সব কিছু উচ্চপদস্থ অফিসারদের জানান। তাঁরা প্রথমে তাঁকে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু এক বছর পর ফেব্রুয়ারি থেকে তা ফের ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ।
চিন্ময়বাবু জানান, তিনি তাঁদের ব্যক্তিগত আর বাণিজ্যিক গাড়ির তফাত তিনি বলেন, ‘‘কিন্তু ভিডিও এডিটিং করে নীচে লিখে দেওয়া হয়, আমি না কি টাকা চাইছি। এই মিথ্যা তথ্য তো মানহানির সামিল।’’ তাঁর পরিবারের লোকজনও বিধ্বস্ত। সম্প্রতি, আবার পোস্টটি ছড়াচ্ছে। এতে বিভাগেরও বদনাম হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সাইবার ক্রাইম থানা সূত্রের খবর, ফেসবুক থেকে ভিডিওটি ব্লক করার পদক্ষেপ প্রথমে করা হয়েছে। শিলিগুড়ি এসিপি (ইস্ট) থেন্ডুপ শেরপা ট্রাফিকের দায়িত্বে আছেন। তিনি বলেন, ‘‘তদন্ত হচ্ছে। প্রয়োজনে আইনি ধারায় মামলা হবে।’’