জাল নোট ও মাদক-সহ এসএসবির হাতে ধরা পড়া অভিযুক্তকে হেফাজতে নিতে গড়িমসি করার অভিযোগ উঠল মাটিগাড়া থানার পুলিশের বিরুদ্ধে।
গত বুধবার দুপুরে শিলিগুড়ির মাটিগাড়া এলাকা থেকে মানিক রাই নামে এক ব্যক্তিকে পাকড়াও করে এসএসবি। ধৃতের থেকে ব্রাউন সুগার এবং তিনটি জাল ৫০০ টাকার নোট উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি এসএসবির। বুধবার ধৃতকে মাটিগাড়া থানায় নিয়ে গেলে পুলিশ তাকে হেফাজতে নিতে চায়নি বলে অভিযোগ। শিলিগুড়ি কমিশনারেটের অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনও ফল মেলেনি বলে এসএসবির দাবি। রাতভর থানাতে ধৃতকে নিয়ে অপেক্ষা করেন সংস্থার অফিসাররা। অবশেষে বৃহস্পতিবার সকালে ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ এসএসবি অফিসারেরা। পুলিশ অসহযোগিতা করেছে বলেও তারা উপরমহলে অভিযোগ করেছেন। এসএসবির এক অফিসারের দাবি, গত বুধবার দিনভর শিলিগুড়ি পুলিশের বড়কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলে অনেকেই ফোন তোলেননি। শেষে এ দিন সরাসরি শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনারকে জানানোর পরে পদক্ষেপ হয়েছে বলে দাবি।
পুলিশের তরফে অবশ্য এসএসবির ঘাড়েই দোষ চাপানো হয়েছে। পুলিশের দাবি, ধৃতকে থানায় আনার পরে বেশ কিছু নথিপত্রও জমা দিতে হয়। এসএসবির তরফে যথাযথ নথি দেওয়া হয়নি। কখন কোথায় অভিযান চালানো হয়েছে তাও জানানো হয়নি। সে কারণেই যথাযথ নথি তৈরির করে ধৃতকে নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী, সীমান্ত এলাকা বা তার থেকে দশ কিলোমিটারের মধ্যে যে কোনও এলাকায় যখন ইচ্ছে এসএসবি অভিযান চালাতে পারে। অন্য এলাকা হলে আগে সেক্ষেত্রে জেলা পুলিশকে জানাতে হয়।
শিলিগুড়ি পুলিশের দাবি, মাটিগাড়ার যেখানে অভিযান চালানোর কথা এসএসবি জানিয়েছে তা সীমান্ত থেকে অনেক দূরে। সে ক্ষেত্রে পুলিশকে আগেভাগে কোনও তথ্য জানানো হয়নি। সে কারণেই ধৃতকে প্রথমে হেফাজতে নিতে চাওয়া হয়নি বলে দাবি পুলিশের। শিলিগুড়ির পুলিশের এক অফিসারের দাবি, ‘‘এসএসবির শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে পরে ফোনে কথা হয়েছে। তাতেই সমস্যা মিটেছে। আশা করি পরবর্তীতে সমন্বয়ের কোনও অভাব হবে না।’’