গুলিবিদ্ধ: চোপড়ায় চিকিৎসাধীন তৃণমূল কর্মী সাজেশ। নিজস্ব চিত্র
প্রকল্পের ঠিকাশ্রমিক নিয়োগ ঘিরে গন্ডগোল হল চোপড়ায়। মঙ্গলবার সকালে মদনভিটা এলাকায় তা ঘিরে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল। ছোড়া হয় বোমা। ধারাল অস্ত্র নিয়ে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলেও অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, গুলিতে আহত হন দু’জন। ধারাল অস্ত্রে আঘাত লাগে আরও কয়েক জন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের প্রথমে চোপড়ার দলুয়া ও পরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ‘রেফার’ করা হয়।
ইসলামপুরের পুলিশ সুপার সচিন মক্কার বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ১০ জনকে। বেশ কিছু অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের আটটি মোটরবাইকও বাজেয়াপ্ত করা পড়েছে।’’
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই প্রকল্পে ঠিকাশ্রমিক নিয়োগ ঘিরে আগেও গন্ডগোল হয়েছে সেখানে। অভিযোগ, দু’দিন আগে সেখানকার নিরাপত্তারক্ষী নাসির আহমেদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের ঝামেলা হয়। পরে মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় নাসিরকে। এ দিন নাসিরের পরিবারের লোকেদের উপরে হামলা হয় বলে অভিযোগ। তাঁদের দিকে গুলি, বোমা ছোড়া হয়। গুলিতে আহত হন সাজেশ ও এনামুল হক।
সাজেশের ভাই শাহ আলম বলেন, ‘‘ওই প্রকল্পের ঠিকা কাজ নিয়ে ঝামেলা চলছিল। নাসিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে শুনে সোমবার তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলাম। ফেরার পথে আমাদের উপরে হামলা হয়।’’ তাঁর অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা তাহের আহমেদের লোকেরা হামলা চালিয়েছে। যদিও ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি তাহের বলেন, ‘‘দু’পক্ষই আমাদের দলের লোক। পারিবারিক বিবাদের জেরেই গোলমাল হয়েছে। গুলি-বোমা চলেছে। দু’পক্ষের লোকেরাই আহত হয়েছে। সেখানে একটি প্রকল্পের ঠিকাশ্রমিক নিয়োগ ঘিরে ঝামেলা চলছিল।’’
তৃণমূলের চোপড়া ব্লক সভাপতি প্রীতিরঞ্জন ঘোষ বলেন, ‘‘দু’পক্ষই তৃণমূলের বলে শুনেছি। কী কারণে গন্ডগোল তো খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।’’